আগরতলা, ২৯ এপ্রিল (হি. স.)৷৷ ত্রিপুরায় করোনা আরও তেজিভাবে আছড়ে পড়েছে৷ ১৭ জনের দেহে করোনার পরিবর্তিত রূপ মিলেছে৷ তাতে, ১১টি ডাবল মিউট্যান্ট, ৫টি ইউকে ভেরিয়েন্ট এবং ১টি দক্ষিন আফ্রিকার ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে৷ বিষয়টি খুবই উদ্বেগের বলে মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর৷ কারণ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে ভাইরাস-র ওই পরিবর্তিত রূপগুলি সমস্ত কিছু ছারখার করে দিচ্ছে৷ সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, ডাবল মিউট্যান্টে আক্রান্ত হয়ে ত্রিপুরায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে৷
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এজিএমসি-র প্রধান মাইক্রো- বায়োলজিস্ট ডা: তপন মজুমদার বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনার প্রাদুর্ভাব প্রথম দেখা গিয়েছিল৷ তারপর থেকে একাধিকবার ওই ভাইরাস তার চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসের ৩ ধরনের প্রকারভেদ পাওয়া গিয়েছে৷ তবে, এবছর জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী এবং মার্চের দেশে ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজেলিয়ান ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে৷ ওই ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি এবং টিকাও তেমন প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ৷
এদিন তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কল্যানীতে ল্যাবে ১৯টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ১৭টি নমুনা চিন্তার ভাজ ফেলেছে৷ তিনি বলেন, গত ১২ এপ্রিল ওই নমুনাগুলি পাঠানো হয়েছিল৷ আজ রিপোর্ট এসেছে৷ তাতে দেখা গেছে, ১১টি ডাবল মিউট্যান্ট, ৫টি ইউকে ভেরিয়েন্ট এবং ১টি দক্ষিন আফ্রিকার ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে৷ শুধু তাই নয়, ডাবল মিউট্যান্টে আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ডা: মজুমদারের দাবি, ত্রিপুরায় এখনো ব্রাজেলিয়ান ভেরিয়েন্ট-এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷