নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২১ মার্চ৷৷ মা-বাবার আর্তনাদ একটাই উদ্দেশ্য একমাত্র কন্যার সাথে যে প্রতারণা করেছে দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি৷ ঘটনা কমলাসাগর বিধানসভা দেবীপুর রাজারটলা এলাকায়৷ তার পাশাপাশি মামলার চারদিন পরেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি মধুপুর থানার পুলিশ৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ২ বছর পূর্বে কমলাসাগর বিধানসভা দেবীপুর রাজারটিলা এলাকার দিলীপ দাসের কন্যা মামুন দাস লেখা পড়ার সুবাদে অর্থাৎ বিএড করার লক্ষ্যে কলকাতা চলে যায়৷
সেখানে গিয়ে মেলাঘর কেমতলি লেডার্মুা এলাকার সুবল দাসের ছেলে দীপক দাসের সাথে সম্পর্ক হয়৷ পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক হয়৷ এই ব্যাপারটি দুপক্ষের জানাজানি হয়ে যায়৷ দু’পক্ষের পক্ষ থেকেই লেখাপড়ার পরবর্তী সময়ে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে দেয়৷ পরবর্তী সময়ে গত তিন মাস যাবৎ মামুন দাসের সাথে তার প্রেমিক দীপক দাস প্রতারণা করে আসছে৷ শুধু তাই নয় বারবার ব্ল্যাকমেলিং করে আসছে তার পাশাপাশি৷ সামাজিক মাধ্যমে ভালোবাসার সুবাদে যেসকল ছবি তুলেছিল সেই ছবি গুলো পোস্ট করে দিয়েছে এবং সরাসরি বলে দেয় মামুন দাসকে বিয়ে করতে পারবে না৷
পরবর্তী সময়ে প্রেমিকা মামুন দাস দেবীপুর রাজারটিলা এলাকার নিজ বাড়িতে দ্বিতল বিশিষ্ট পাকা ভবনের উপরে বিষ পানে আত্মহত্যা করে৷ যদিও আজ পর্যন্ত যে জায়গার মধ্যে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে তার জুতো, টুথব্রাশ এবং বিষাক্ত কীটনাশক ওষুধের বোতলের ছিপি পর্যন্ত ওই জায়গায় রয়েছে৷ কিন্তু মা বাবা মেনে নিতে পারেনি৷ যার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদায় মা-বাবা কান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন৷ দীপক দাসের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন একমাত্র কন্যা হারিয়ে৷ মা বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এবং দীপক দাসের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন৷
তাদের একটাই বক্তব্য তাদের কন্যার মত যাতে অন্য কারোর যাতে এরূপ ঘটনা না ঘটে৷ জানা যায় প্রেমিক দীপক দাসের মা বর্তমান শাসক দলের কেমতলি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান৷ তার বাবা কেমতলি এলাকার শাসক দলের একনিষ্ঠ কর্মী৷ মৃতার পরিবারের বক্তব্য মামলার চারদিন পরেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেনি মধুপুর থানার পুলিশ৷ গ্রেপ্তার না করলে আদালতের দ্বারস্থ হবে৷