পিয়ংইয়ং, ১৬ মার্চ (হি.স.) : আগামী চার বছর শান্তিতে ঘুমোতে চাইলে যেন ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করে বাইডেন প্রশাসন। এই ভাষাতেই আমেরকাকে হুঁশিয়ারি দিল উত্তর কোরিয়া । উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনায়ক কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে । এমন এক সময় তিনি এই হুমকি দিয়েছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর শুরু করে দিয়েছেন।
সোমবার প্রথমবারের মত বিদেশ সফরে জাপান আসেন পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন। পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া ও চিনের বিরুদ্ধে সামরিক জোট শক্তিশালী করতে সফরে বের হয়েছেন তারা। এই অবস্থায় ওয়াশিংটনের নতুন প্রেসিডেন্টকে ইঙ্গিত করে এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেন, আগামী চারটি বছর যদি আপনি ভালো করে ঘুমাতে চান, তবে শুরু থেকেই সেই পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত না, যা আপনার ঘুম কেড়ে নেবে।
গত সপ্তাহেই যৌথ মহড়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার সেনা। সেই প্রসঙ্গে কিম ইয়ো জং বিবৃতিতে বলেছিলেন, ”নয়া মার্কিন প্রশাসন আমাদের দেশে বারুদের গন্ধ ছড়াতে চাইছে।” সেই সমালোচনার রেশই নতুন বিবৃতিতেও। প্রসঙ্গত, জো বিডেন হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পর এই প্রথম তাঁর প্রশাসনের উদ্দেশে কোনও বার্তা দিল কিমের দেশ।
গোটা বিশ্বেই কার্যত ‘একঘরে’ উত্তর কোরিয়া। তারা নিজেরাই বাকি দেশগুলির থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে। এমনকী, করোনা অতিমারীর সময়ে অন্য দেশগুলি যেখানে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের কথা বলেছে, সেখানেও কিম প্রশাসন দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় কিছুই জানায়নি। বরং সেদেশে কেউই সংক্রমিত হননি, এমন বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটির সীমান্ত। তার প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতেও। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সামরিক জোট যে কিমকে আরও অস্বস্তিতে ফেলবে তাতে সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত, এর আগে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিমের সঙ্গে অনেকগুলি বৈঠক করলেও তা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি।