নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ মার্চ৷৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর প্রাথমিক বিভাগের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া হচ্ছে অস্বচ্ছ পরিবেশে৷ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টির যোগান নিশ্চিত করতে সরকার মিড ডে মিল কর্মসূচি চালু করেছে৷ এক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রাখা খুবই জরুরি৷
প্রকৃতপক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই যেহেতু মিড ডে মিল চালু করা হয়েছে সেহেতু নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে অসততার আশ্রয় নিলে মিড ডে মিল এর আসল উদ্দেশ্যই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে৷ কিন্তু বিভিন্ন সুকলে মিড ডে মিল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যে পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা খুবই উদ্বেগজনক৷উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর প্রাথমিক বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে মাঠে বসিয়ে যেভাবে মিড ডে মিল খাওয়ানো হচ্ছে তাতে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে৷ মিড ডে মিলের খাবারের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ধুলোবালি এবং গাছের পাতা৷ স্বাভাবিক কারণেই মিড-ডে-মিল খেয়ে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা ক্রমশই বাড়ছে৷
এই অস্বচ্ছ পরিবেশে অনেক ছাত্র-ছাত্রী মিড-ডে-মিল খেতে চাইছে না৷ বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে এসেছে৷ খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট কক্ষ রয়েছে৷ আশ্চর্যজনকভাবে কক্ষটিতে মিড ডে মিলের চাল ডাল ইত্যাদি রেখে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে৷ ছাত্র-ছাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে অস্বচ্ছ পরিবেশে মিড ডে মিল খেতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন অভিভাবকরা৷ এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে জানা গেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দে ছুটিতে রয়েছেন৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমীর নাথএবং এসএমসি কমিটির চেয়ারম্যান অমিতাভ নাথ নিজেদের ইচ্ছাতেই এসব কার্যকলাপ করে চলেছেন৷ কদমতলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর প্রাথমিক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩০০জন৷ অভিভাবকদের অভিযোগ এসএমসি কমিটি কিছু অযোগ্য লোকজনদেরকে স্থান করে দেওয়া হয়েছে৷ সেকারণেই তারা এসব বিষয়ে কোন ভুমিকা পালন করছেন না৷