বিদ্যা ভারতীর স্কুলে খ্রিস্টান ও মুসলিম শিশুরাও পড়াশোনা করেন, জানেন না রাহুল

নয়াদিল্লি, ৪ মার্চ (হি.স.): স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের বৃহত্তম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হল বিদ্যা ভারতী। এই বিদ্যা ভারতী সম্পর্কেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিদ্যা ভারতীর স্কুলগুলিকে মাদ্রাসার সঙ্গে তুলনা করেছেন রাহুল, রাহুল গান্ধীর এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করল স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের বৃহত্তম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিদ্যা ভারতী। তবে, রাহুল গান্ধীর নাম নেয়নি বিদ্যা ভারতী। বুধবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বিদ্যা ভারতীর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী রাম আরাবকর জানিয়েছেন, সর্বভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যা ভারতীর যোজনার অধীনে দেশজুড়ে যে সমস্ত স্কুল পরিচালিত হয়, সেই সমস্ত স্কুলে যে ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয় বিভিন্ন সময়ে সেই শিক্ষার প্রসংশা করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ থেকে সমাজকর্মী অনেকেই। বিদ্যা ভারতীর প্রধান লক্ষ্যই হল-জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে দেশপ্রেম ও সমাজের প্রতি উৎসর্গের অনুভূতি রাখে এমন ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি করা। বিদ্যা ভারতী ন্যূনতম ফিতে উচ্চমানের শিক্ষার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখের বিষয় হল, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবং কেরলের ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলার সময়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রসঙ্গ টেনে এনে আরএসএস-এর বিরুদ্ধে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় দখলের অভিযোগ এনেছিলেন। সঙ্ঘের দ্বারা অনুপ্রাণিত স্কুলগুলিকে পাকিস্তানের জিহাদি পাঠদানের মাদ্রাসাগুলির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন রাহুল। রাহুল বলেছিলেন, ইসলামপন্থীরা তাদের মাদ্রাসাগুলি ব্যবহার করে, ঠিক একইভাবে আরএসএস তাঁদের স্কুলগুলিতে একটি বিশেষ ধরণের বিশ্ব দেখায়। হাজার হাজার স্কুল চালানোর জন্য আরএসএস কোথা থেকে টাকা পাচ্ছে, তা কেউ জিজ্ঞাসা করে না?
রাহুলের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ-সহ সমাজের অনেকেই রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। আদর্শ ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে মাদ্রাসার সঙ্গে তুলনা করায় বিদ্যা ভারতী জানিয়েছে, সামাজিক সংহতি, সর্বজ্ঞতা এবং সমস্ত ধারণার প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে একটি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। আমাদের স্কুলগুলিতে প্রায় ৮০,০০০ মুসলিম ও খ্রিস্টান শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন, তাঁরা শিক্ষার্জনের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান অর্জন করার পাশাপাশি খেলার মাধ্যমে পরিবার ও বিদ্যালয়কে গর্বিত করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *