নয়াদিল্লি, ৩ জানুয়ারি (হি. স.): জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। তা বিপজ্জনক হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। রবিবার টুইটারে তিনি লেখেন, ‘কোভ্যাক্সিনের এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়নি। আগেভাগে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং তা বিপজ্জনক হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দয়া করে বিষয়টি স্পষ্ট করুন। পুরো ট্রায়াল শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আপাতত অ্যাস্ট্রোজেনেকার (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার যৌথভাবে তৈরি টিকা) টিকার ব্যবহার শুরু করতে পারে ভারত।’
উল্লেখ্য, জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। রবিবার তার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এদিন কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার সাংবাদিক বৈঠক ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানি জানান, যে প্রক্রিয়ায় আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভাবে যেভাবে করোনা টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক, তা অত্যন্ত সুরক্ষিত পদ্ধতি। ভারত বায়োটেকের আবেদনে শিম্পাঞ্জি, খরগোশ, ইঁদুর-সহ বিভিন্ন প্রাণীর উপর চালানো পরীক্ষার তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৮,০০০ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, কোভ্যাক্সিনের ফলে মানবদেহে ভালো প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রতিক্রিয়া মিলছে। একইসঙ্গে ডিসিজিআই জানিয়েছেন, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ২৫,৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে প্রায় ২২,৫০০ জনকে ইতিমধ্যে টিকা প্রদান করা হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী আপাতত কোভ্যাক্সিন সুরক্ষিত বলেই বিবেচিত হয়েছে। সেই ট্রায়াল এখনও চলবে।