নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ প্রসাশনিক গুরুত্ব ও ন্যূনতম অভিজ্ঞ রাজনৈতিক অভিভাবকহীন বিশালগড় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা৷ দেখা গেছে গত কয়েক মাসে বিদ্যুৎ ভোক্তাদের অভিযোগ এবং বিদ্যুৎ সাব ডিভিশনে কয়েক শতাধিক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের যুক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে৷ কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তরের বিভাগীয় কর্তা দাবি করেন কর্পোরেট অফিস থেকে বিশালগড় ডিভিশন একটি স্পেশাল বাজেট পাস হয়ে গেছে৷
ডিজিএম রাজীব কুমার রায় এর দাবি ডিভিশনের পুরো ২৬ কিলোমিটার বিদ্যুৎ পরিবাহী সংযোগ গত কয়েক মাস আগে সম্পূর্ণভাবে সারাই করা হয়েছে৷ শিড়ংয়ের ৩৩কেভি ইউনিট থেকে সূর্যমনি নগর স্টেশন অব্দি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যাবতীয় সমস্যার সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে৷ সূর্যমনি নগর থেকে বিশালগড়ের জাঙ্গালিয়া স্টেশন অব্দি পাওয়ার রিসিভিং ও সাপ্লাই এর সমস্যা সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে৷ কিন্তু ডিজিএমের এই ব্যক্তব্য বাস্তব ভাবে সঠিক নয় তা আবারও প্রতিদিন প্রমাণিত হচ্ছে৷ বিশালগড় থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এলাকা৷
ঐ এলাকা থেকেও হাজার হাজার মানুষের আওয়াজ উঠে আসছে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য৷ বিশালগড় এবং চড়িলাম এলাকার বিদ্যুৎ অফিসের মধ্যে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের ফোন আসছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না৷
এমনকি টেলিফোন রিসিভ করার যে কর্মরত কর্মী রয়েছেন উনাকে ফোন করলে কিছু বলতে পারেন না এবং বিদ্যুৎ অফিসের মধ্যে প্রচুর বিদ্যুৎ কর্মীরা রয়েছেন এমনই অভিযোগ উঠে আসছে প্রতিনিয়ত৷ অবশেষে গ্রাহকরা কোন কিছুর সমাধান না পেয়ে যার যার এলাকায় পুলিশ এসে গ্রাহকদের বুঝাতে হচ্ছে৷ কিন্তু দপ্তরের কর্মীরা গা ঢাকা দিয়ে বসে থাকে৷
বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ অফিসের এরকম পরিস্থিতি থাকলে যেকোনো সময় বিদ্যুৎ অফিসে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বলে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের ধারণা তাই এখন দেখার বিষয় বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেন৷সোমবার থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিসেবা অস্বাভাবিক ছিলো৷প্রচুর সংখ্যক গ্রাহকরা বুধবার সকালে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ দেখান৷পরে বিশালগড় থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে৷

