আলু-পেঁয়াজের কালোবাজারি রুখতে মাঠে নামল প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্যে আলু এবং পেঁয়াজের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বাজারে আলো পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবার ময়দানে নামল প্রশাসন৷সদরের অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিনয় দাসের নেতৃত্বে প্রশাসনের এক প্রতিনিধি দল বুধবার মহারাজগঞ্জ বাজারে২৫ টি গ্রামে হানা দেয়৷
গোদাম গুলিতে প্রচুর পরিমাণ আলু পিয়াজ মজুত রয়েছে৷মজুদ আলু পিয়াজ দ্রুত বাজারে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য গুদামের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে৷


প্রতি কেজি আলু পিয়াজ ৩৭ টাকা মূল্যে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কোন বিক্রেতা অতিরিক্ত মূল্য নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷
অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার দায়ে বেশকয়েকজন দোকানের মালিক কে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে মহকুমা প্রশাসক৷সদরের অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিরন দাস জানিয়েছেন অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলে প্রশাসনের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ উল্লেখ্য গত বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে আলু এবং পেঁয়াজের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে৷


আকাশছোঁয়া দাম হয় অনেকের পক্ষেই আলু পিয়াজ করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷বিশেষ করে গরীব অংশের মানুষ আলো পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির ফলে জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন৷ করোণা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ এরই মধ্যে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করার ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন৷উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় মহকুমা প্রশাসন বুধবার বাজারে হানাদারি চালালেও প্রকৃত সমস্যাকে সমাধান হবে তা নিয়ে জনগণ সন্দেহে রয়েছেন৷মাত্র একদিন অভিযান চালিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷শুধু মহারাজগঞ্জ বাজারে নয় রাজ্যের অন্যান্য বাজারগুলিতে প্রশাসনের তরফ থেকে এ ধরনের হানাদারি চালানোর দাবি উঠেছে৷ বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আলো পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকায় পৌঁছেছে৷ অবিলম্বে প্রশাসন এসব বিষয়ে কঠোর মনোভাব গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে৷