নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের পর্যবেক্ষক ভূপেন ভোরা দলের ঐক্যের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন৷ সমস্ত নেতৃত্বদের এক সঙ্গে বসিয়ে বোঝানোর করলেন দলে নেই কোন মতানৈক্য৷ কিন্তু এড়িয়ে গেলেন অনেক প্রশ্ণের উত্তর৷ উল্টে শুর চড়ালেন রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে৷ তিনি জানান সংবাদ মাধ্যমে চুপ করে দেওয়ার মত যে ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে রাজ্য কংগ্রেস ও জাতীয় কংগ্রেস কর্মসূচী নিয়েছে৷
সংসদে এই বিষয় উত্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি৷ পড়ে পিসিসি সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস জানান রাজ্যে অরাজকতা চলছে৷ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দায়িত্ব হীনতা নিয়ে সর্ব ভারতীয় সভানেত্রী অবগত হয়েছেন৷ এর জন্য রাজ্য পর্যবেক্ষকে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে৷ আলোচনা ক্রমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচী নেওয়ার জন্য৷ এই নিয়ে শনিবার কংগ্রেস ভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ আলোচনায় সর্ব সম্মতি ক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একাধিক ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস আগামী ২১ সেপ্ঢেম্বর ১২ ঘণ্টার ত্রিপুরা বনধের ডাক দিয়েছে৷ কংগ্রেস দল বাধ্য হয়ে এই বনধের আহবান করেছে বলে জানান পিসিসি সভাপতি বিরজিৎ সিনহা৷ সমস্ত মানুষকে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানান৷
সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্য মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান তিনি৷করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের অমানবিক ভূমিকা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, রাজ্যের চিটফান্ডের শিকার সাধারণ মানুষের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং করোনায় মৃত পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা মিটিয়ে দেওয়া, বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিত করা সহ ৯ দফা দাবিতে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি আগামী ২১ সেপ্ঢেম্বর ত্রিপুরা বনধ -এর ডাক দিয়েছে৷ ১২ ঘন্টা বনধ পালন করা হবে৷ জরুরী পরিষেবা বনধ -এর আওতার বাইরে থাকবে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, রাজ্যের বর্তমান বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সরকারে অমানবিক দিকগুলো সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেস দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে অবগত করা হয়েছে৷ দেশের মানুষ আড়াই বছরের বিজেপি এবং আইপিএফটি জোট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে৷ বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা হচ্ছে৷ যা একপ্রকার খুন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি৷ কেন্দ্র থেকে অর্থ এনে রাজ্যের লুট চলছে বলে জানান তিনি৷রোগীদের কাছে খাবার পৌঁছাতে রোগীর পরিজনদের মোটা অংক দিতে হচ্ছে সেখানকার কর্মীদের৷ গোটা জিবি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি৷