নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সভাপতিত্বে আজ সচিবালয়ে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের সম্পসারণ ও উন্নয়ন এবং সাব্রুমে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট স্থাপনের বিষয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিতহয়৷সভায় সাবমে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট স্থাপনের গুরুত্ব সর্ম্পকে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাব্রুমে আই সি পি স্থাপন হলে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কার্যকলাপ আরও বদ্ধি পাবে৷তাতে ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিরও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুুযোগ সৃষ্টি হবে৷ ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বিভিন্ন উৎপাদিত পণ্য বহুবিধ পরিবহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বাজারজাত করণের নতুন পথ খুলে যাবে৷ পাশাপাশি সাব্রুমে আই সি পি স্থাপন হলে রাজ্যে গ্যাস ভিত্তিক ও রাবার ভিত্তিক শিল্প এবং বস্ত্র ও সার শিল্পের মতো বড় শিল্প স্থাপনের সুুযোগ সৃষ্টি হবে৷
সভায় ল্যাণ্ড পোর্ট অথরিটি অব ইণ্ডিয়ার চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে সাব্রুমে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট স্থাপন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, সাব্রুমে মোট ৪৯.০৭৮ একর এলাকা নিয়ে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টটি স্থাপন করা হবে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মক এই প্রকল্পের জন্য ৩৬৫ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় জমি ল্যাণ্ড পোর্ট অথরিটি অব ইণ্ডিয়ার নিকট হস্তান্তর করলেই টেণ্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে৷ শ্রী মিশ্র আরও জানান, সাব্রুমে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে কালচারেল হাব, কার্গো টার্মিনাল, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, গুদামঘর, কনটেইনার ডিপো, পাম্প হাউস, স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র ইত্যাদি সুুযোগ সুুবিধাগুলি থাকবে৷
সভায় আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের সম্পসারণ ও উন্নয়ন বিষয়ে ল্যাণ্ড পোর্ট অথরিটি অব ইণ্ডিয়ার চেয়ারম্যান শ্রী মিশ্র জানান, বর্তমানে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে যাতায়াত সহ বাণিজ্য কার্যকলাপ বদ্ধি পাওয়ায় এই চেকপোস্টটি সম্পসারণ ও উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে৷ এরজন্য জন্য প্রয়োজনীয় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন৷ সভায় এই দুটি চেকপোস্টের প্রস্তাবিত নকশাও মুখ্যমীর সামনে তুলে ধরা হয়৷ আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের সম্পসারণ ও উন্নয়ন এবং সাব্রুমে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট স্থাপনের কাজটি দ্রত শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে তা ল্যাণ্ড পোর্ট অথরিটি অব ইণ্ডিয়ার কাছে হস্তান্তর করার জন্য শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যেকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সভায় এছাড়াও মুখ্যসচিব মনোজ কুমার, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা প্রশান্ত কুমার গোয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷