আগরতলা, ৩১ জুলাই (হিঃসঃ)৷৷ করোনা-র প্রকোপে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে৷ তাই, বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশে আটকে থাকা ত্রিপুরার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷ শুক্রবার চতুর্থ দফায় ৫২ জন বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন৷ তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক একান্তবাসে রাখা হয়েছে৷
ইতিপূর্বে বিদেশ মন্ত্রকের সহযোগিতায় প্রথম দফায় বাংলাদেশে আটকে থাকা ১০৬ জন ত্রিপুরার নাগরিক গত ২৮ মে রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷ তাদের সংস্পর্শে গিয়ে আগরতলা আইসিপিতে ৬ জন বিএসএফ এবং একজন চিকিৎসক সহ ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ দ্বিতীয় দফায় ২৮৮ জন ত্রিপুরার নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছিল বিদেশ মন্ত্রক৷ তাদের মধ্যে ১৮ জুন দুই শিশু সহ ১২২ জন ত্রিপুরার নাগরিক এবং ১৯ জুন আরও ১২৩ জন ত্রিপুরার নাগরিক আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে ফিরে এসেছিলেন৷ এঁদের মধ্যে ৩৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে৷
এদিকে, করোনা-প্রকোপে বাংলাদেশে আটকে থাকা আরও ৭৫ জন ত্রিপুরার নাগরিককে চতুর্থ দফায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা হয়েছিল৷ কিন্তু আজ ৫২ জন বাংলাদেশ থেকে ফায়ার এসেছেন৷ এ-বিষয়ে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া-র আগরতলা ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী বলেন, আজ বাংলাদেশ ফেরত ত্রিপুরার নাগরিক-দের গ্রহণে সমস্ত আয়োজন কঠোরভাবে করা হয়েছিল৷ কোন ঝুঁকি না নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা-য় ত্রিপুরার নাগরিক-রা ফিরেছেন৷ তাঁদের নমুনা সংগ্রহের পর প্রাতিষ্ঠানিক একান্তবাসে পাঠানো হয়েছে৷
এ-বিষয়ে পশ্চিম জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সঙ্গীতা চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে ৭৫ জন ত্রিপুরার নাগরিকের ফিরে আসার তালিকা পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু, ৫২ জন আজ ফিরেছেন৷ তাঁর কথায়, বাংলাদেশ ফেরত ত্রিপুরার নাগরিকদের মধ্যে ২৮ জন সে-দেশের সরকার অনুমোদিত ল্যাব থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে রিপোর্ট সাথে নিয়ে এসেছেন৷ তাঁদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল৷ তাই ওই ২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি৷ বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ আরটি-পিসিআর যন্ত্রে ওই নমুনা পরীক্ষা করা হবে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফেরত ত্রিপুরার নাগরিকদের আগরতলাস্থিত পিআরটিআই-তে একান্তবাসে রাখা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ঢাকাস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত সংস্থা কিংবা হাসপাতাল থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট নেওয়ার ৭২ ঘণ্টর মধ্যে ওই রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে৷