শিবসাগর (অসম), ২১ মে (হি.স.) : অসমের শিবসাগরে অবস্থিত আটটি তেলক্ষেত্ৰকে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে রাজ্যের বিভিন্ন দল ও সংগঠন। সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা (আসু), বীর লাচিত সেনা, তফশিলি জাতি ছাত্ৰ সংস্থা, সংগ্ৰামী যুব-ছাত্ৰ পরিষদ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি দল ও সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্ৰ প্রতিবাদ করছে।
সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা-র শিবসাগর জেলা সমিতির সাধারণ সম্পদক সমীরণ ফুকন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেন্দ্ৰীয় সরকারের অসমের সম্পদের ওপর অধিকার আছে। কিন্তু যে সব প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে ব্যক্তিগত বা বেসরকারি হাতে তা তুলে দেওয়া হচ্ছে, তার তীব্ৰ বিরোধিতা করছি।’ আসু-র এই নেতার কথায়, ‘অসমের সম্পদ নিয়ে মুনাফা লাভের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার প্ৰাইভেট কোম্পানিগুলোর হাতে সেগুলোকে তুলে দিতে চাইছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেওয়া যাবে না। ভবিষ্যতে ওএনজিসি কৰ্তৃপক্ষকে উপযুক্ত প্ৰত্যুত্তর পেতে তৈরি থাকতে হবে।’
একই কথা শোনা গেছে বীর লাচিত সেনার নেতা চিতু বরুয়ার মুখেও। তিনি বলেন, ‘অসমের মাতৃর প্ৰতিটি সম্পদের মালিকানাসত্ব বাইরের কোনও কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না।’ তাঁর বক্তব্য, ‘লকডাউনের আজুহাতে অসমে লুটপাট শুরু হয়েছে। দিহিং পাটকাইয়ে কয়লা খননের অনুমতি দিয়েছে সরকার। সরকারের সিদ্ধান্তেরও তীব্ৰ নিন্দা করছে বীর লাচিত সেনা।’
এছাড়া তফশিলি জাতি ছাত্ৰ সংস্থার সম্পাদক পরশজ্যোতি দাসও সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্ৰ সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘অসমের তেলক্ষেত্ৰগুলি অসমবাসীর সম্পদ। এই সম্পদ শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ঠিকা দেওয়া হয়নি কাউকে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরিবৰ্তন করতেই হবে।’ তফশিলি জাতি ছাত্ৰ সংস্থার হয়ে এই দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সংগ্ৰামী যুব ছাত্ৰ পরিষদ-এর শিবসাগর জেলা সমিতির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ দুওরাও কেন্দ্ৰীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কোনও মতে মেনে নেওয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।