নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২৬ এপ্রিল ঃ উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার নীল ত্রিপুরার বসত বাড়িতে শনিবার রাতে আনুমাণিক ৩টায় দুষৃকতীরা আগুন ধরিয়ে পুরো পরিবারকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে৷ রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ ও মন্টই আলী দীর্ঘদিন ধরে নীল ত্রিপুরার বাড়ির উপর দিয়ে সরকারি বিদ্যুৎ লাইন থেকে হুক লাইন দিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে৷ নীল ত্রিপুরা বাড়ির উপর দিয়ে হুক লাইনের তার না নেওয়ার জন্য বার কয়েক আপত্তি করার পরও তারা কর্ণপাত করেনি৷ শনিবার আনুমাণিক বেলা ২টা নাগাদ হূক লাইনে ব্যবহৃত তারে কয়েকটি জায়গায় স্পার্ক করছিল৷
তাতেই নীল ত্রিপুরা আব্দুল আজিজকে বিষয়টি জানায় এবং অতিসত্বর লাইন খুলে নেওয়ার জন্য বলে৷ তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে নীল ত্রিপুরার গোটা পরিবারের সদস্যদের উপর অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ ও তার মা, বোন, সবাই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়৷ সেখানেই আব্দুল আজিজ নীল ত্রিপুরার পরিবারকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়৷ প্রতিদিনের মত নীল ত্রিপুরার দুই পুত্র, স্ত্রী-কন্যারা রাত আনুমাণিক ১০টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমাতে যান৷
রাতে আনুমাণিক ৩টা তাদের বসত ঘরে আগুন দেখতে পায় বড় ছেলে প্রসেনজিৎ ত্রিপুরা৷ সাথে সাথে চিৎকার-চেচাঁমেচি করতে থাকে৷ ছোট ছেলে রতন ত্রিপুরা এবং তার স্ত্রী গীতা ত্রিপুরা অপর ঘর থেকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতেই অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ ও মন্টই আলীকে দৌড়ে পালিয়ে যায়৷ তখন ঘরের চালে আগুনের লেলিহান শিখায় পুরো বাড়ি আলোকিত হয়ে যায়৷ সাথে সাথে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ পরমুহূর্তেই পানিসাগর থানায় খবর পাঠানো হয়৷
রবিবার সকালে পানিসাগর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নীল ত্রিপুরার বক্তব্য অনুযায়ী অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ ও মন্টই আলিকে খোঁজ করতে তাদের বাড়িতে যান৷ পুলিশ আসার খবর পেয়ে উভয়ই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়৷ তাদের ঘরে থাকা টিআর০৫বি-৯৫৭৪ ও টিআর০৫সি-৭৩০৬ নং দুইটি বাইক পুলিশকর্মীরা পানিসাগর থানায় নিয়ে আসেন৷ নীল ত্রিপুরা পানিসাগর থানায় অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ এবং মন্টই আলির বিরুদ্ধে লিখিত এফআইআর করেন৷ বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে হত্যা করার চেষ্টার ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ এলকাবাসী দুষৃকতীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন৷