নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ এপ্রিল ৷৷ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ সপ্তাহব্যাপী সামাজিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে শনিবার আইজিএম হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তদান শিবির সংগঠিত করে৷ শিবিরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস৷ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই রক্তদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছে৷ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া কিংবা স্বার্থসিদ্ধির জন্যই নিজেদের দায়দায়িত্ব সীমাবদ্ধ রাখেনি৷ সমাজের বৃহৎ স্বার্থে কাজ করে চলেছে৷ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে লকডাউন ঘোষণা করায় রাজ্যের ব্লাডব্যাঙ্কগুলো রক্তশূন্য হয়ে পড়েছে৷
এর ফলে রক্তের অভাবে বহু রোগীর অপারেশন করা যাচ্ছে না, থ্যালাসেমিয়া রোগীরা রক্তের অভাবে জটিল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, প্রসূতি মায়েদের সিজার এবং দুর্ঘটনায় পতিত লোকজনদের চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের দরকার হয়৷ ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়ায় সমস্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে৷ লকডাউন চলতে থাকায় অনেকেই রক্তদানে এগিয়ে আসছেন না৷ এই জটিল সমস্যা নিরসনে সামাজিক দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে রক্তদানে এগিয়ে এসেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ আইজিএম হাসপাতালে শনিবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রক্তদানে শিবিরের উদ্বোধন করে বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস বলেন, রাজ্য ও রাষ্ট্রের জটিল সমস্যায় এগিয়ে এসেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ এ ধরনের চিন্তাধারার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি৷ বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস বলেন, ছাত্রছাত্রীরা জাতির এবং দেশের ভবিষ্যৎ৷
এই ধরনের উদ্যোগ চালিয়ে যেতে তিনি ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দিয়েছেন৷ তিনি তথ্য দিতে গিয়ে আরও জানান, এবিভিপি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি করে টিম রয়েছে৷ তাদের কাছে রক্তদাতাও রয়েছে৷ জরুরি প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রক্ত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেজন্য জনগণকে প্রয়োজন বোধে এবিভিপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস৷ এ ধরনের সেবামূলক কাজে সমাজের অন্যান্য অংশের লোকজন এবং বিভিন্ন সংগঠনকে এগিয়ে আসার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ শনিবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রক্তদান শিবিরে মোট ২০ জন রক্তদান করেন৷ এ ধরনের প্রয়াস আগামীদিনেও জারি থাকবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন৷