নয়াদিল্লি, ১৭ এপ্রিল (হি.স.): মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যেই নির্ভুল রেজাল্ট ! করোনার র্যাপিড টেস্টে সাফল্য কেরলের ইনস্টিটিউটের । ত্রিবান্দ্রামের শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এসসিটিআই)-র বানানো এই টেস্ট কিটে একসঙ্গে অনেক রোগীর থেকে নেওয়া নমুনাও পরীক্ষা করা যাবে। খরচও সাধ্যের মধ্যেই। জানা গেছে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর অনুমোদনে এমন টেস্ট কিট ইতিমধ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে কেরলের বেশ কিছু হাসপাতাল-নার্সিংহোমে।
গবেষকরা বলছেন, এই টেস্ট কিট হল ছোটখাটো একটা ডিভাইসের মত। করোনার সংক্রমণ রয়েছে কিনা জানতে লালা রস এই ডিভাইসে রাখলে মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যেই নির্ভুল রেজাল্ট দেবে। এখানেও আরটি-পিসিআর (রিভার্স পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। একসঙ্গে ৩০টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করতে পারে এই টেস্ট কিট। খরচ পড়বে হাজার টাকা।
শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বায়োমেডিক্যাল উইংয়ের বিজ্ঞানী ডক্টর অনুপ ঠেক্কুভেট্টিল বানিয়েছেন এই টেস্ট কিট। তিনি ও তাঁর টিম মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই টেস্ট কিট বানিয়ে ফেলেছেন। এসসিআইটির ডিরেক্টর ডক্টর আশা কিশোর বলেছেন, “রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ লুপ পদ্ধতিতে ভাইরাল নিউক্লিক অ্যাসিড শনাক্ত করা হচ্ছে এই টেস্ট কিটে। বিশ্বে খুব কম ধরেনর টেস্ট কিটেই এমন উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ভাইরাস যদি জিনের গঠন বদলেও ফেলে, তাহলেও আরএনএ ভাইরাল জিন নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা যাবে এই টেস্ট কিটের মাধ্যমে।”
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা বলেছেন, “করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে হলে র্যাপিড ও র্যান্ডম টেস্টের প্রয়োজন। যত কম সময়ে বেশিজনের টেস্ট করা যাবে, তত দ্রুত সংক্রমণখে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোখা যাবে। কম খরচে র্যাপিড টেস্টের এমন উন্নত পদ্ধতি আবিষ্কার করে নজির গড়েছে কেরলের এই ইনস্টিটিউট।”