শিলং, ৫ এপ্রিল (হি.স.) : মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাসের থাবায় থরহরি সারা বিশ্ব। এ পৰ্যন্ত গোটা বিশ্বে ১২ লক্ষ ছাড়িয়েছে করোনা সংক্ৰমণের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষের। সেই কথা মাথায় রেখে করোনা ভাইরাসের হামলা থেকে বাঁচতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকাশ্য লোকালয়ে প্ৰত্যেক নাগরিককে মুখে মাস্ক, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, কাশি এলে মুখে রুমাল চাপা দেওয়া, শিষ্টাচার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করেছে মেঘালয় সরকার।
শুক্ৰবার মেঘালয় সরকার কৰ্তৃক গঠিত মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞের একটি দল এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে মহামারি করোনা ঠেকাতে মাস্কের ব্যবহার ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
রবিবার এই খবর দিয়ে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, করোনা সংক্ৰমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী মুখে মাস্ক ব্যবহারের কাৰ্যকারিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞের দলটি করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাস্ক ব্যবহার এবং হাত পরিষ্কার রাখার ওপর বার বার জোর দিয়েছে।
মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ দলের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, মহামারি করোনা সংক্ৰমণ ঠেকাতে মুখে মাস্কের ওপর হাত দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। ভারত সরকারের বৈজ্ঞানিক পরামৰ্শদাতাদের পরামৰ্শের ভিত্তিতে এই নিয়মগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে প্ৰচার করা হচ্ছে, জানান তিনি।
মুখ্যসচিব জানান, সাধারণ মানুষকে বাড়িতে বসে তুলো দিয়ে দুই স্তরের মাস্ক সেলাই করে তৈরি করতে পরামৰ্শ দেওয়া হচ্ছে। মাস্কগুলি যাতে নাক, মুখ এবং চিবুক পৰ্যন্ত ঢেকে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের শিল্প ও বাণিজ্য দফতর স্থানীয় স্বনিৰ্ভর দল এবং বেসরকারি সংগঠনগুলিকে পুনঃব্যবহাৰ্য দুই স্তরের মাস্ক তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছে। বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগের উদ্যোগে ১০ এপ্ৰিলের মধ্যে ৩ লক্ষ মাস্ক তৈরি হয়ে যাবে। এছাড়া সরকারের তরফ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আরও ১০ লক্ষ মাস্ক সংগ্ৰহের নিৰ্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যসচিব।