নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ নভেম্বর৷৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল তথা সিএবি সংসদে পাশ না করানোর দাবিতে উপজাতি ছাত্র সংগঠন টিএসএফ সোমবার ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ সদর কার্যালয় সংলগ্ণ এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে৷ নর্থ ইস্ট টুডেন্টস অগানাইজেশন এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করছে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে৷ তাদের সমর্থনেই ত্রিপুরায় ছাত্র সংগঠন টিএসএফ প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়৷ শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/IMG-20191118-WA0080-1024x681.jpg)
সংশোধনী পাশ হয়ে গেলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ অন্যান্য দেশ থেকে ধর্মীয় সংঘাতের কারণে উচ্ছেদ হয়ে ভারতে আসা লোকজনদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা সম্ভব৷ এরই প্রতিবাদে গোটা দলে বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে উপজাতি ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলে উপজাতিদের অন্যতম বৃহৎ ছাত্র সংগঠন নেসো-নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হয়েছে৷
সংসদ ভবন চত্বরেও একই দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়েছে৷ এরই অঙ্গ হিসেবে নেসোর ডাকে টিএসএফ রাজ্যেরও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামল হয়েছে৷ ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রধান কার্যালয় সংলগ্ণ এলাকায় দেখা গেল এরই বাস্তবচিত্র৷ কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানো থেকে বিরত না থাকলে নেসো আরও বৃহত্তর প্রতিবাদ বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে ঘিরে আস্তে আস্তে উত্তপ্ত হচ্ছে অসম-সহ উত্তরপূর্ব৷ সোমবার থেকে শুরু হ্যয়া সংসদের অধিবেশনে সরকার বিলটিকে রাজ্যসভায় পাশ করাতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী যার জন্য এটিকে তালিকায় নথিভুক্তও করা হয়েছে৷ বিলে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা মুসলিম ব্যতীত অন্য সম্প্রদায়ের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দিতে চায় সরকার৷ বাম গণতান্ত্রিক মঞ্চের অধীনে ১১টি রাজনৈতিক দল এসেছে৷
তারাই বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেছে৷ নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৮ নভেম্বর একসঙ্গে উত্তরপূর্বের সবকটি রাজ্যে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে৷ বিলে প্রস্দাব করা হয়েছে, হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, শিক, বুদ্ধিস্ট, পার্সিরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে ভারতে এলে, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷ ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে যাঁরা ভারতের এসেছেন তাঁরাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন৷
এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় বিজেপি তথা এনডিএ-র যা শক্তি তাতে বিলটি পাশ হয়ে যেতে পারে৷ লোকসভায় বিলটি আগেই পাশ হয়ে গিয়েছে৷ অসমের অর্থমন্ত্রী তথা নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যানায়েন্সের নেতা হিন্ত বিশ্বশর্মা আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির আপত্তির দিকে নজর দেওয়া হবে৷ বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন৷