নয়াদিল্লি, ২৩ অক্টোবর (হি.স.) : বৃহস্পতিবার হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। ওইদিনই জানা যাবে দুই রাজ্যের মসনদে থাকবে কোন দল। নির্বাচন হওয়া দুই রাজ্যেই এতদিন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ফলে এই দুই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তারা। অন্যদিকে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পরাজয়ের গ্লানি কাটিয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কংগ্রেস।
লোকসভা ভোটের প্রায় ছ’মাসের মধ্যে ফের বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির সামনে। লোকসভায় বিরাট সাফল্যের পর বিজেপির জন্য এই লড়াই ছিল নিজেদের মজবুত মাটিকে আরও শক্ত করার। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া কংগ্রেসের কাছে এই লড়াই ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। এই লড়াইয়ে কার জয় হবে, কে হারবে সেসব জানা যাবে আগামী ২৪ অক্টোবর। সোমবারে হরিয়ানার ৯০টি আসনে বড় কোনও অশান্তি ছাড়াই ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এদিন হরিয়ানার ৯০টি আসনে ভোট পড়েছে ৬১.৬২ শতাংশ। সোমবার সকাল ৭ টা থেকে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। শুরু থেকে ধিমেতালে চললেও পরে গতি বেড়ে যায়। প্রথমে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ২৩.১২ শতাংশ। এরমধ্যে ভোওয়ানি জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে| এছাড়া পঞ্চকুলায় ১৫.৫৫ শতাংশ, আম্বালায় ১৯.৪১ শতাংশ, যমুনানগরে ২৩.০৭ শতাংশ, কুরুক্ষেত্রে ২১.৩০ শতাংশ, কর্নালে ২৪.৯৯ শতাংশ, পানীপতে ২১.৮৯ শতাংশ, সোনিপাতে ২১.৬০ শতাংশ, জিন্দাবাদে ২৪.৪৪ শতাংশ । সিরসায় ভোটগ্রহণের হার ছিল ২৭.৫৭ শতাংশ, হিশারে ২৬.৭৫ শতাংশ,ভাওয়ানিয়ায় ৩৬.৬৬ শতাংশ এবং রোহটকে ২৩.৮৮ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে ভোটগ্রহণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। এবারও বিজেপি-শিবসেনা জোট ক্ষমতায় আসতে চলেছে। ইঙ্গিত বুথ ফেরত সমীক্ষায় লোকসভা ভোটের প্রায় ছ’মাসের মধ্যে ফের বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির সামনে। লোকসভায় বিরাট সাফল্যের পর বিজেপির জন্য এই লড়াই ছিল নিজেদের মজবুত মাটিকে আরও শক্ত করার। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া কংগ্রেসের কাছে এই লড়াই ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। এই লড়াইয়ে কার জয় হবে, কে হারবে সেসব জানা যাবে আগামী ২৪ অক্টোবর। সোমবারে মহারাষ্ট্রের ২৮৮ টি আসনে বড় কোনও অশান্তি ছাড়াই ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এদিন মহারাষ্ট্রে ২৮৮ টি আসনে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। আগামী ২৪ অক্টোবর হবে গণনা। মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের জন্য লড়াই করছে ৩২৩৭ প্রার্থী। রাজ্যে ভোটদাতার সংখ্যা ৮,৯৭,২২,০১৯। রাজ্যজুড়ে ৯৬,৬৬১ ভোটগ্রহণ গড়ে তোলা হয়েছে।