নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ অক্টোবর৷৷ লক্ষ্য এডিসি নির্বাচন৷ তাই জোট শরিক শাসক দলের ওপর চাপ সৃষ্টির ছক এঁকে নিয়েছেন এনসি দেববর্মারা৷ আইপিএফটি আগামী নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিপ্রাল্যান্ডের দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দেবে৷ আজ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷
দলপতি এনসি দেববর্মা জানিয়েছেন, তিনটি এজেন্ডায় আজ আইপিএফটি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাঁর কথায়, এডিসি নির্বাচন, তিপ্রাল্যান্ড এবং দলীয় তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ তাতে, আগামী নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিপ্রাল্যান্ডের দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় আইপিএফটি তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতেই লড়াই জারি রেখেছে৷ তাই, আবারও ওই দাবি আদায়ে কেন্দ্রের দরবারে যাবে আইপিএফটি৷
এদিন তিনি জানান, এডিসি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আইপিএফটি৷ এবিষয়ে আজ বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় প্রতিটি নির্বাচনেও আইপিএফটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে জোট বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল আইপিএফটি৷ কিন্তু, এরপর থেকেই সমস্ত নির্বাচনেই বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি-আইপিএফটি উভয় দল৷ ফলে, এডিসি নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে আমরা স্থির করেছি, দাবি এনসি দেববর্মার৷ অবশ্য, আসন রফা নিয়ে আজ এনসি দেববর্মা ঝেড়ে কাশেননি৷ তিনি বলেন, বিজেপির সাথে আসন রফা নিয়ে এখনও আলোচনা অনেক দূর বাকি রয়েছে৷ তাঁর কথায়, অধিকাংশ আসনেই আইপিএফটি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রস্তুত৷ এক্ষেত্রে বিজেপির সাথে আসন রফা কিভাবে হবে সে বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার এখনও সময় আসেনি৷
তাঁর কথায় মনে হয়েছে, এডিসি নির্বাচনে আসন রফা নিয়ে বিজেপির সাথে এখনও দর কষাকষি চলছে৷ এক্ষেত্রে বিজেপির উপর চাপ বাড়াতেই তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে আবারও উপজাতি ভাবাবেগে সুরসুরি দিতে চাইছে আইপিএফটি৷ সম্ভবত, ওই চাপের কৌশল হিসেবেই নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে ডেপুটেশন দেবে আইপিএফটি৷