নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ জুলাই৷৷ আবারও পনের জন্য এক গৃহবধূকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়৷ ঘটনা কৈলাসহরের হালাইছড়া গ্রামে৷ অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর নাম তাজমিনা বেগম৷ কৈলাসহরের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মকবুল আলি তার মেয়ে তাজমিনা বেগমকে বিয়ে দেন হালাইছড়া গ্রামের সাজিদ আলির সঙ্গে৷ বিয়ের পরের দিন থেকেই তাজমিনার উপর অকথ্য নির্যাতন সাজিদ আলি সহ সাজিদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা৷ বাবা রিক্সাশ্রমিক হওয়াতে মেয়ে তাজমিনা বাড়িতে কিছু বলত না৷
অনেকটাই সহ্য করে থাকত৷ মকবুল সাজিদের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না, কারণ বিয়ের সময় কিছু দিতে পারবে না বলে৷ কিন্তু তাজমিনাকে দেখে সাজিদ এবং সাজিদের পরিবারের সদস্যদের পছন্দ হয়ে যাওয়ায় যৌতুক ছাড়াই বিয়ে করে বলে জানান মকবুল আলি৷ সম্প্রতি তাজমিনা বাড়িতে জানিয়েছিল যে, সাজিদ বাইকের দাবি করেছে৷ বন্ধন ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে বাইক কিনে দেবার জন্য সাজিদ দাবি করছে৷ তাজমিনার বাড়ি থেকে বাইক না দেওয়াতে গতকাল রাতে সাজিদ এবং তাঁর বাড়ির অন্যান্যরা মিলে তাজমিনার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে তাজমিনার মা-বাবা অভিযোগ করেন৷
আগুন লাগানোর পর তাজমিনাকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাজমিনার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে তাজমিনাকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে৷ সাজিদ এবং সাজিদের পরিবারের সদস্যরা মিলে এই কাজ করেছে বলে তাজমিনার প্রতিবেশী মহিলারাও দাবি করেন৷ এই ঘটনার পর তাজমিনার বাবা মকবুল আলি কৈলাসহর মহিলা থানায় সাজিদ এবং সাজিদের পরিবারের সদস্যদের নামে এফআইআর করেন৷
মহিলা থানার পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ কারণ সবাই পলাতক৷ উল্লেখ্য, সাজিদ বিয়ের পূর্বে ব্যাঙ্গালোরে থাকত এবং সেখানে একটি প্রাইভেট সংস্থার সিকিউরিটি গার্ডে কাজ করত৷ তাজমিনার এই ঘটনার পর তাজমিনার মা একেবারেই ভেঙে পড়ে৷