পশ্চিম ও ঊনকোটি জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিধিনিষেধ জারী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ এপ্রিল ৷৷  আগামী ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ২-পূর্ব ত্রিপুরা (এস টি) লোকসভা আসনে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণভাবে বজায় রেখে ভোট গ্রহণ পর্বকে সম্পর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ ও ভয়মুক্ত পরিবেশে সুুসম্পন্ন করতে ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা এক আদেশবলে ঊনকোটি জেলার অন্তর্ভক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০০ মিটার এলাকার মধ্যে নির্বাচন পর্ব পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন৷

এই আদেশ প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে৷ এই আদেশ জারি থাকার সময়ে ঊনকোটি জেলার অন্তর্ভক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০০ মিটার এলাকার মধ্যে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ এছাড়াও কোনও ব্যক্তি কর্ত’ক মারাত্মক অ’শ’ বহন করাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই আদেশ জারি থাকার সময়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকার সময়ে ঊনকোটি জেলার অন্তর্ভক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০০ মিটার এলাকার মধ্যে রাজ্য পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও অন্যান্য আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান এবং উপযুক্ত কর্ত’পক্ষের অনুমতিপত্র ব্যতিরেকে অন্য কেউ চলাচল করতে পারবে না৷

এই আদেশ অমান্যকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হবে৷পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ড. সন্দীপ মাহাত্মে এন এক আদেশে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ফৌজদারী দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারায় জনসাধারণের চলাচলের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন৷ জনজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্পত্তি রক্ষায় এবং দুস্ক’তিকারী ও কালোবাজারীদের অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে এই আদেশ জারি করা হয়েছে৷ এই বিধিনিষেধ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সদর ও মোহনপুর মহকুমায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫০০ মিটার এলাকায় বলবৎ হয়েছে৷

এই আদেশ কার্যকর হয়েছে গত ৪ এপ্রিল, ২০১৯ থেকে এবং তা আগামী ৩ জলাই, ২০১৯ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে৷ এই বিধিনিষেধ প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোট ৫টা পর্যন্ত কার্যকর হবে৷ এই আদেশ সামরিক বাহিনী/ আধা সামরিক বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর ক্ষেত্রে যারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিযুক্ত তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না৷ তাছাড়াও পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক, পশ্চিম জেলার পুলিশ সুুপার এবং সদর ও মোহনপুরের মহকুমা শাসকদের বৈধ অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি, জরুরী সরকারি কাজে নিযুক্ত কর্মচারি এবং চিকিৎসারজন্য রোগীদের ক্ষেত্রেও এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না৷  এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আই পি সি’র ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *