ঢাকা, ৮ এপ্রিল (হি.স.) : ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)কে দলের উত্তরসূরি ঘোষণার একদিন পরই আরেক নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সেনাশাসক এইচ এম এরশাদ নিজের সব সম্পত্তি একটি ট্রাস্টে দান করে দিয়েছেন। এরশাদ ওই ট্রাস্টের নামে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি লিখে দেন। জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতি সোমবার সকালে জানান, \”আমাদের চেয়ারম্যান নিজের সব সম্পত্তি একটি ট্রাস্টে দান করেছেন। রবিবার বিকেলেই এ উপলক্ষে পাঁচ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা হলেন এইচ এম এরশাদ, তাঁর ছেলে এরিক এরশাদ, ব্যক্তিগত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আখতার, খুড়তুতো ভাই মুকুল ও ব্যক্তিগত কর্মী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। এ ট্রাস্টি বোর্ডে জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ কিংবা ভাই জি এম কাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করেননি।\”

সোমবার সকালে হিন্দুস্থান সমাচারকে জি এম কাদের জানান, \”আমার কোনও মন্তব্য নেই। বড় ভাই তাঁর সম্পত্তি কাকে দেবেন কী করবেন এটা তাঁরই ব্যাপার।\” রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এর আগে গত শনিবার এরশাদ নিজের অনুপস্থিতিতে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ছোট ভাই জি এম কাদেরকে মনোনীত করেন। এর মাত্র দু’দিন আগেই কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যানের পদে পুনর্বহাল করা হয়। ঘনঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য আলোচিত প্রাক্তন সেনাপ্রধান এর আগে গত ২২ মার্চ জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। তার একদিন পরেই সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকে কাদেরকে সরিয়ে স্ত্রী রওশন এরশাদকে মনোনীত করেন এইচ এম এরশাদ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রাক্তন এই স্বৈরশাসক এরশাদের মধ্যে সবসময় একটা অস্থিরতা কাজ করে। তাঁর শাসনকালেও এই অস্থিরতা নানা সমস্যার জন্ম দিয়েছে। এখন আওয়ামি লিগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটেও আছেন, আবার নিজে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলে রেখে বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করছেন। মহাজোটে থাকা না থাকা নিয়ে বেশ কয়েকবার নাটকীয়তা হয়েছে। তাঁর কোনও সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়ার কারণ নেই।