প্যারিস, ৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি প্রত্যাহারের জন্য প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দিনের উদাহরণ দিলেন শ্রীশান্ত। ‘আজহারকে রেহাই দিলে আমাকে নয় কেন?’ হতাশ শ্রীশান্তের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ছিল না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির কাছেও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছে। বহুবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেও কোনও ফল পাননি শ্রীশান্ত। এক ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব শ্রীশান্তকে খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু বিসিসিআইয়ের খাঁড়ার জন্য তিনি খেলতে পারছেন না। হতাশা বাড়ছে। ক্রিকেটে ফেরার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না শ্রীশান্ত। চার বছর হয়ে গেল তাঁর নির্বাসন চলছে।
২০১৩ আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল শ্রীশান্তের। একইভাবে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে ২০০০ সালে নাম জড়িয়েছিল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের। তাঁকেও আজীবন নির্বাসিত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট আজহারের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় বিসিসিআইকে। আদালতের তরফে বলা হয়, বিসিসিআইয়ের দেওয়া শাস্তির নিদান বেআইনি। শ্রীশান্ত এবার তাই আজহারের উদাহরণ টানলেন। তিনি বলেন, ‘যদি আজহারকে শাস্তি থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তা হলে আমাকে নয় কেন?’
শ্রীশান্তের আইনজীবী সলমন খুরশিদ বলছেন, ‘আমার মক্কেলের এমনিতেই ৩৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। এই বয়সে ওর পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মুশকিল। তবে শ্রীশান্তের কাছে বেশ কয়েকটা কাউন্টি ক্লাবের প্রস্তাব রয়েছে। আজীবন নির্বাসনের শাস্তি তুলে অন্তত ওকে ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে দেওয়া উচিত।’ এদিকে বিসিসিআইয়ের আইনজীবী পরাগ ত্রিপাঠি বলেছেন, ‘ফিক্সিং প্রসঙ্গে বিসিসিআই কোনও আপোস করবে না। তাই শ্রীশান্তের আজীবন নির্বাসন ওঠার সম্ভাবনা কম।