রাজ্যে মহিলাদের উপর অপরাধ বৃদ্ধির জন্য ডিজিপির জবাব চাইলেন সুষমা সাহু

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মে৷৷ রাজ্যে মহিলাদের উপর অপরাধ বৃদ্ধির জন্য রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককেও জবাব দিতে হবে৷ এরাজ্যে

সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য সুষমা সাহু বক্তব্য রাখেন৷ ছবি নিজস্ব৷

মহিলাদের উপর নির্যাতন ও অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় পুলিশী ভূমিকা নিয়ে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য সুষমা সাহু৷ সাথে যোগ করেন, সমাজে মহিলাদের প্রতি অপরাধ কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে হবে৷ এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা সুষমা সাহু তিনদিনের রাজ্য সফরের শেষে আজ সকালে রাজ্য অতিথিশালায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷ তাঁর কথায়, মহিলাদের উপর অপরাধ বৃদ্ধির জন্য পুলিশ দায় এড়াতে পারে না৷ এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে জবাব দিতেই হবে৷ কারণ, কঠোর পুলিশি ব্যবস্থা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে৷

তিনি আরও বলেন, মহিলাদের অধিকার সুরক্ষা ও তাদের প্রতি অপরাধমূলক ঘটনা আরও কমানোর লক্ষ্যে ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের কাজের পরিধি আরও বনানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ তৃণমূলস্তর পর্যন্ত এর পরিধি বিস্তৃত করা হবে৷ যাতে করে মহিলাদের প্রতি কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে কেউ রেহাই পেতে না পারে৷ এক্ষেত্রে অপরাধীদের কোন মতেই মাফ করা হবে না৷ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, গত দুদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সফর করে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে মহিলাদের আইনী অধিকার ও তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ তিনি বিশালগড়স্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার সফরকালে মহিলা আবাসিকদের থাকার ব্যবস্থা, খাবার ব্যবস্থা সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, এ কারাগারে মহিলা ও বাচ্চাদের থাকার জায়গা কম রয়েছে৷ একে সম্প্রসারিত করতে হবে৷ এরজন্য কারাগারের ভেতরে প্রয়োজনীয় জায়গাও রয়েছে৷ এছাড়া এখানকার মহিলা কার আবাসিকদের এখন পর্যন্ত কোন আধার কার্ড তৈরী করে দেওয়া হয়নি৷ নেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও৷ এ ব্যাপারে তিনি কারাগার কর্তৃপক্ষকে যথা শীঘ্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য উদ্যোগ নিতে বলেন৷ যাতে করে তাদেরকে আধার কার্ড ও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলে দেওয়া যায়৷

তিনি জানান, কারাগারের আবাসিক বিশেষ করে যারা বিচারাধীন রয়েছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আরও বেশী করে করাতে হবে৷ যাতে করে তারা কারাগার থেকে বের হবার পরে সমাজের মূল স্রোতের সাথে যুক্ত হয়ে সুষ্ঠু জীবন যাপন করতে পারে৷ তিনি জানান, এই সমস্ত বিষয়ের উপর রিপোর্ট তৈরী করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে৷ এছাড়াও তিনি আইনী সচেতনতামূলক শিবিরগুলির অভিজ্ঞতাও সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *