নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে৷৷ আগরতলার জি বি হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাবের কেলেঙ্কারির রহস্য উন্মোচনে আচমকা মাঝরাতে জি বি

হাসপাতালে গিয়ে হাজির হয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন৷ একদিনের মধ্যে অধিকর্তাকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ শুধু সেন্ট্রাল ল্যাবের কেলেঙ্কারিই নয়, কথিত বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার সত্যতা খঁুজে বের করতে মঙ্গলবার গভীর রাতে সুদীপ রায় বর্মনকে সফল হতে সাহায্য করেছে তাঁর কিছু সোর্স৷ নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, জি বি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ফিরিয়ে আনতে হলে সেখানে সোর্স তৈরী করা একান্ত প্রয়োজন৷ তা তিনি করলেন এবং সফলও হলেন৷
মঙ্গলবার রাত প্রায় দুইটা নাগাদ অনেকটা পুলিশি অভিযানের মতো আচমকা জি বি হাসপাতালে গিয়ে মন্ত্রী দেখেন, রাজ্যের ৩৭ লক্ষ মানুষ যে প্রধান রেফারেল হাসপাতালের উপর এতদিন ভরসা করে আসছিলেন সেখাইে রয়েছে মস্ত বড় গলদ৷ এদিন গভীর রাতে আচমকা জি বি হাসপাতালে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, সেখানে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের কিছু কর্মী প্রত্যেক রোগীর প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে আসছেন৷ যা দেখে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷
সেদিন গভীর রাতে জি বি হাসপাতালে তিনি যখন হানা দেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন দপ্তরের সচিব সমরজিৎ ভৌমিক৷ বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন জানিয়েছেন, তিনি আগে সব কিছু টের পেয়েছিলেন৷ সেন্ট্রাল ল্যাবের বেহাল দশা দেখে ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে ফোন করেন৷ কিন্তু, যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এদিন রাতে ডিউটি রয়েছে এমন অপর এক চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকার বিষয়টিও মন্ত্রীর নজরে এসেছে৷ সেই ডাক্তারবাবুকে তিনি ফোন করে অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চান৷ অপরপ্রাপ্ত থেকে ডাক্তারবাবু নিজের মতো করে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেদিকে কর্ণাপত না করে সরাসরি নির্দেশ দেন দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসতে৷
ডাক্তারবাবু ছুটে আসেন হাসপাতালে৷ কিন্তু, সেন্ট্রাল ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে পাওয়া না গেলেও তাঁর কাছে সবকিছু পরিস্কার হয়ে গেছে বলে তিনি জানান৷ তিনি আরও বলেন, কেন এতদিন ধরে সেন্ট্রাল ল্যাবে হিমোগ্লোবিন পরিমাপের মেশিন সারাই করা হল না৷ এ সমস্ত বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এভাবে মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং এই কেলেঙ্কারি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷ জানা গেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী দপ্তরের সচিব এবং অধিকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবার রাতের মধ্যে সমস্ত বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করতে৷ একই সঙ্গে এতদিন ধরে যা চলছে সবটাই তাঁর মতে আইন বিরুদ্ধ৷ তাই প্রয়োজনে পুলিশ ডেকে ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন৷