নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ এপ্রিল৷৷ দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র রাজ্য টানাপোড়েন পর রাজ্যে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি স্থাপন হতে চলেছে৷ পরিকাঠামো তৈরি না হলেও রাজ্য সরকার আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি চত্বরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পঠন পাঠন শুরু করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে৷ রাজ্য মন্ত্রী সভার বৈঠকের পর রাজ্যের শিক্ষা ও আইন মন্ত্রী রতন লাল নাথ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আইআইআইটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০১২ সালে অনুমোদন দিয়েছিল৷ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ কিন্তু পূর্বতন সরকার এবিষয়টিতে কোন গুরুত্বই দেয়নি৷
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হল কেন্দ্রীয় অনুমোদন স্বত্বেও রাজ্যের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছে তৎকালীন সরকার৷ কিন্তু বর্তমান সরকার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে৷ কারণ এই বিষয়টিতে কর্মসংস্থানের বিস্তর সুযোগ সৃষ্টি হবে৷
মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে অর্থাৎ পিপিপি মডেলে রাজ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠছে৷ এজন্য রাজ্য সরকার বোধজংনগরে ৫২ একর জমি সংস্থান করে দিয়েছে৷ তবে পরিকাঠামো গড়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে৷ কিন্তু সরকার আর সময় নষ্ট করতে চায় না৷ তাই আগামী ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে এনআইটি চত্বরে ট্রিপল আইটির যাবতীয় কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে যাবে৷ পরে ভবন নির্মানের পর তা বোধজংনগরে স্থানান্তরিত করা হবে৷
তিনি জানান, বোধজংনগরে ৫২০৮ একর জমিতে পিপিপি মডেলের এই ট্রিপল আই টি স্থাপন করা হবে৷ এতে মোট ব্যয় হবে ১২৮ কোটি টাকা৷ এরমধ্যে কেন্দ্র সরকার দেবে ৭৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা৷ রাজ্য সরকার দেবে ৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা৷ প্রাইভেট সংস্থা থেকে শেয়ার হিসাবে পাওয়ার কথা ৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা৷ এরমধ্যে ও এন জি সি দিয়েছে ২ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা এবং নীপকো দিয়েছে ৫৬ লক্ষ টাকা৷ আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রাইভেট সংস্থার শেয়ারের ঘাটতির ৫ কোটি ৮২ লক্ষ টাকাও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, বোধজংনগরে ট্রিপল আই টি’র পরিকাঠামো তৈরি হওয়ার সাপেক্ষে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের সেশন আগামী জুন-জুলাই মাস থেকেই এন আই টি ক্যাম্পাসে শুরু হবে৷
2018-04-13