
১৯৯৮ সালে সলমন, সেইফ, তব্বু, নীলম ও সোনালি “হাম সাথ সাথ হ্যায়” ছবির শ্যুটিংয়ে যোধপুর গিয়েছিলেন। অভিযোগ, শ্যুটিং চলাকালীন ১ ও ২ অক্টোবরের রাতে আলাদা আলাদা দুটি জায়গায় সলমন কৃষ্ণসার শিকার করেন। কাঙ্কাণি গ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণসার শিকারের অভিযোগ রয়েছে, তারই এদিন রায় দিল আদালত। এর আগে এই মামলায় বারবার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেন তারকা। যদিও এবার আর কোনও যুক্তিই ধোপে টিকল না। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৫১ নম্বর ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ৩ বছরের কম সাজা হলে যোধপুর আদালতই তাঁকে জামিন দিতে পারত। পাঁচবছরের জেল হওয়ায় জামিনের জন্য দায়রা অাদালতে অাবেদন জানাতে হবে তাঁকে। তাঁকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে।
সূত্রের খবর, এরই মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায় ও সাজার নির্দেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন পেশ করা হয়েছে সলমনের তরফে। আগামীকাল বেলা সাড়ে দশটায় তাঁর শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এদিনের রাতটা তাঁকে কাটাতে হবে জেলেই। এদিকে সলমনকে যখন মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় বিশনয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের। কৃষ্ণসার শিকারের মুখ্য অভিযুক্ত সলমনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতা। তাঁর বিরুদ্ধে বন্য পশু সংরক্ষণ আইনের ৫১ নম্বর ধারায় মামলা চলছিল। এই কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষণাবেক্ষণ যাঁরা করেন রাজস্থানের সেই বিশনই উপজাতির সদস্যরা জানান, তাঁদের স্থির বিশ্বাস, এবার তাঁরা ন্যায় বিচার পাবেন।
এদিকে কৃষ্ণসার হত্যা মামলার রায় ঘোষণার আগের দিনই যোধপুরে পৌঁছান সলমন খান। মনের জোর বাড়াতে সলমনের সঙ্গেই রয়েছেন তাঁর বোন আলভিরা খান অগ্নিহোত্রী এবং অর্পিতা খান শর্মা। কিন্তু কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় সলমন আজ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পরই ভেঙে পড়েন আলভিরা। আদালতের মধ্যেই থমকে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। শুধু তাই নয়, সলমন খানকে দোষী সাব্যস্ত করার পর নাকি কান্নায় ভেঙেও পড়েন আলভিরা। তবে সলমনের ওপর বোন অর্পিতা খান শর্মা এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। এদিকে সলমনের জেলে যেতে হলে বন্ধ হয়ে যাবে ‘রেস থ্রি’-র শুটিং। পাশাপাশি ‘ভরত’ এবং কিটি’-র শুটিংও বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি ‘দাস কা দম’, ‘বিগ বস ১২’-এর সঞ্চালনায়ও এবার আর সলমনকে দেখা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ৫০০ কোটি ক্ষতির মুখে বলিউড।