নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জানুয়ারি৷৷ মৌসুরিস্থিত লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল একাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর ১৮ সদস্যকে আই এ এস প্রশিক্ষণার্থদের আজ মহাকরণের ১ নং কনফারেন্স হলে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন৷ সাক্ষাৎকারের সময় সফররত এই প্রতিনিধি দলকে মুখ্যমন্ত্রী স্বাগত জানান৷ তিনি প্রশিক্ষণার্থী আইএএস আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের পশে থেকে তাদের সমস্যা সমাধানে সব সময় এগিয়ে আসতে হবে৷ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি জনগণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী সফররত প্রতিনিধিদলটির কাছে রাজ্যের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রসঙ্গে রাজন্য শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের বিস্তৃতি প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন৷
তিনি বলেন, উন্নয়নের প্রথম ও প্রধান শর্তই হচ্ছে শান্তি৷ আমাদের রাজ্যে শান্তি আছে বলেই সড়ক যোগাযোগ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতি ঘটেছে৷ কিন্তু রাজ্যে একটা সময় বিভেদকামী শক্তি অশান্তির পারিবেশ সৃষ্টি করেছিন৷ ১৮ সালে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই প্রকৃত অর্থে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পিত উদ্যোগ শুরু হয়৷ যা আজও ধারাবাহিকবাবে চলছে৷ বিভিন্ন সময় এই উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে স্তব্ধ করার বহু চেষ্টা করা হয়েছে৷ এখনও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত৷ এই অপপ্রচেষ্টাকে প্রতিহত করে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় জনমুখী কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে রাজ্য সরকার৷ জনগণের সার্বিক সহযোগিতার ফলেই রাজ্যে শান্তি বজায় রয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজ্য তিন দিক দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা দ্বারা ঘেরা৷ একদিকে রয়েছে আসাম রাজ্য৷ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গেও আমাদের রাজ্যের গভীর সুসম্পর্ক রয়েছে৷ সর্বশেষে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিনিধিদলটির উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা রূপায়ণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷