কেন্দ্র ক্ষমতা দিলেও পেঁয়াজ মজুতের দায়ভার নেওয়া সম্ভব নয় ঃ খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ পেঁয়াজ মজুতের দায়ভার বহন করা রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়, সাফ জানালেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজারে যোগান সহজলভ্য করার লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল সমূহকে নিয়ন্ত্রণ মূলক ক্ষমতা প্রদাণের সিদ্ধান্ত নেয়৷ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী দাম নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপের আওতাতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত৷ সেই মোতাবেক গত ২৫ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, এখন থেকে পেঁয়াজের মজুত ও দাম সংক্রান্ত বিষয়ে মুনাফাখোর এবং দালালদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন মাফিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু পদক্ষেপের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে৷ এবিষয়েই শ্রী সাহা এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন৷
মঙ্গলবার মহাকরণে খাদ্যমন্ত্রীর সাফ কথা রেশনিং ব্যবস্থায় পেঁয়াজ সর্বরাহ করা হলে কোন আপত্তি নেই৷ সেক্ষেত্রে এফসিআই কিংবা এনএএফইডি’কে দায়িত্ব নিতে হবে৷ যদি তারা পেঁয়াজ সংগ্রহ করে রেশনিং ব্যবস্থা বন্টন করা হয় তাতে আপত্তি থাকার কোন কথা নেই৷ কিন্তু, যদি রাজ্যের ঘারে পেঁয়াজ সংগ্রহ এবং মজুত করার দায়ভার বহনের জন্য বলা হয় তাহলে তা কোন মতেই সম্ভব নয়৷ খাদ্যমন্ত্রীর যুক্তি, ত্রিপুরা পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্য নয়৷ ফলে বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে৷ এক্ষেত্রে পেঁয়াজের দামের রকমফের বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের কাছে৷ যেমনটা অভিজ্ঞতা রয়েছে তেল ও ডালের ক্ষেত্রে৷ তেল ও ডাল সরবরাহে দরপত্র আহ্বান করেও কোন সরবরাহকারী পাওয়া যায়নি৷ তাদের বক্তব্য এক বছরের দাম একত্রে দেওয়া সম্ভব নয়৷ তাই তেল ও ডালের ক্ষেত্রে ডিবিটির ব্যবস্থা করতে হয়েছে৷ খাদ্যমন্ত্রী চাইছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ সংগ্রহ করে সরবরাহ করুক৷ কিন্তু রাজ্য এই দায়িত্ব কোন ভাবেই বহন করবেনা৷ তিনি অবশ্য এও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপি এখনও হাতে এসে পৌঁছায় নি৷ ফলে, নির্দিষ্ট করে আর কিছুই বলা সম্ভব নয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *