কলকাতা, ২৯ আগস্ট (হিস)৷৷ ধর্মীয় মেরুকরণের মর্র্মন্তিক পরিনতি হচ্ছে ধূপগুড়ির ঘটনা৷ ধূপগুড়িতে গরু চোর সন্দেহে দু জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবপার আলিমুদ্দিনে একথা বলেন, সি পি এমের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম মৌলবাদীদের তোল্লাই দিচ্ছেন৷ এতে হিন্দু মৌল্যবাদীদেরই সুবিধা হবে৷ এদিন তিনি বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্যোগ জনক৷ রাজ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে৷ তৃণমূল সংখ্যালখু সম্প্রদায়কে মদত দিচ্ছে৷ আর বিজেপি তার ঠিক উল্টোটা করছে৷ প্রতিযোগিতা মূলক সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হচ্ছে রাজ্যে৷ কিন্তু ৩৪ বছরের বাম জামানায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির ছিল৷ এখন সরকার তো দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে৷ মহরমের দিন বিসর্জন বন্ধ করার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সহেগ কথা বলে ঠিক করা উচিত ছিল৷ আলাদা আলাদা রুটে মহরম আর বিসর্জন করা যেতে পারত৷ প্রশাসন ব্যবস্থা নিত৷ ৩৪ বছরে তো কোনও দিনই এমনটা হয় নি৷ মঙ্গলবার তিনি বলেন, পাটনায় মোদী বিরোধী সমাবেশে আমরা যাই নি৷ কারণ হচ্ছে, মহা জোট ঘোষণা করে মিটিং হয়েছিল৷ আমরা কোনও মহা জোটে নেই৷ যখন ভোট হবে তখন দেখা যাবে৷ ইন্দোরে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে পদযাত্রা হবে৷ সেখানে আমরা যাব৷ কেননা সেখানে জোটের রাজনীতি নেই৷ সি পি এম চায়, সাম্প্রদাকিতার বিরুদ্ধে গণ সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে উঠুক৷ জোট গড়ে গণ সংগ্রাম নয় মানুষই জোট গড়ে তুলবে৷ পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, বিধানসভায় বামেদের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর এদিন বলেন, আমরা পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর কথা বলেছিলাম৷ মুখ্যমন্ত্রী পরে হলেও বুঝেছেন৷ তবে আজকের বৈঠক সর্বদলীয় নয়৷ যারা এসেছিলেন তারা কি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি৷ সবাই এসেছিলেন এমন তো নয়৷ আমরা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা বলছি৷ মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে যান৷ আলোচনা করে শান্তি ফেরান৷ শান্তি ফেরানো এখন খুব জরুরি৷