নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুলাই৷৷ এক সময়ের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী তথা তিনি প্রতিষ্ঠিত ছেলের বাবার দিন চলছে ভিক্ষাবৃত্তি করে৷ বাইখোরা বাহারে সুপ্রতিষ্ঠিত মিষ্টি ব্যবসায়ী ছিলে ৮৫ বছরের সাধন দে৷ বর্তমানে তার দুই ছেলে চাকরিজীবী এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী৷ নিজের চার মেয়েকে খুবই ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছেন৷ তা স্বত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন যাপন করছেন তিনি৷ সাধনবাবুর বাড়ি শান্তিরবাজার মহকুমার পশ্চিম চড়কবাই এলাকায়৷ একসময় তিনি খুব কষ্ট করে দোকান করে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করেছেন৷ ছেলেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সাধন দে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেছেন৷ কিন্তু এখন সেই ছেলেরাই ওনাকে খাবার দিচ্ছেন না৷ বড় ছেলে ডেপুটি আইএস পদে করবুকে কর্মরত আছে৷ আবার মেজ ছেলে বাইখোরা একটি বিদ্যালয়ের বিষয় শিক্ষক৷ ছোট ছেলে বাইখোরাতে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী৷ তিন ছেলে মিলে বাবার কাছ থেকে সমস্ত সম্পত্তি ভাগ করে নেয়৷ মেয়েরাও এখন বাবার তেমন খবর রাখেন না৷ সাধন দে পেটের তাগিদে যখন নিরুপায় হয়ে মানুষের বাড়িতে যান তখন অন্য প্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিক্ষক সমাজ ওই বৃদ্ধকে প্রশ্ণ ছুঁড়ে দেয়৷ কিন্তু মনে উত্তর থাকলেও বলার সাহস থাকে না, কারণ যদি খাবার না জোটে৷ সবচাইতে বিস্ময়ের বিষয় হল সাধন দে পনের বছর আগে পশ্চিম চড়কবাই পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন৷ পাঁচ বছর জনগনের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব করলেও এখন বৃদ্ধ বয়সে ভাতা পাননি৷
2017-07-18
