নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুলাই৷৷ আইপিএফটি’র জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধ নিয়ে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াল বিজেপি এবং কংগ্রেস৷ একদিকে, বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছে৷ অন্যদিকে, সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের যাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস৷ শনিবারের মধ্যে অবরোধ আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজ্য সরকার কোন ব্যবস্থা না নিলে রবিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে সতর্ক করেছে প্রদেশ কংগ্রেস৷ এদিকে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য সরকার অবরোধের সমাপ্তি ঘটাতে কোন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি দশ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করবে বলে জানিয়েছেন দলের রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধ প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৪ ঘন্টা সময় আগেই বেঁধে দিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস৷ সেই সময়ও অতিক্রান্ত হয়ে গেছে৷ তাই এখন, আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ মুক্ত করার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা ধার্য করে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস৷ শনিবার প্রত্যাহার করে না নিলে কিংবা রাজ্য সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে রবিবার থেকে পাল্টা আন্দোলনে নামবে বলে চরম হুশিয়ারী দিয়েছে৷ অবরোধ ইস্যুতে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে নীরব দর্শক কটাক্ষ করেছে৷
শনিবার প্রদেশ কংগ্রেসের ১২ সদস্যকে একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের সঙ্গে ডেপুটেশনে মিলিত হয়েছে৷ সদর জেলা কংগ্রেস সভাপতি নারায়ন দত্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মী নাগ, যুব কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ডেপুটেশনে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের হাতে দাবী সনদ তোলে দিয়েছেন৷ প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ প্রশাসন অনৈতিক আন্দোলন প্রত্যাহারে উদাসীন৷ ধলাই, উত্তর, ঊনকোটি জেলায় ৩ জন রোগী হাসপাতালে না আসতে পাড়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে৷ আইন-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিস্থিতি নিয়ে কোন শব্দ উচ্চারন না করায় আন্দোলনের মদতদাতা শাসক দলই, তা জনসমক্ষে প্রমানিত হয়েছে৷ তাই আইপিএফটি’র জাতীয় সড়ক ও রেল লাইন অবরোধে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আন্দোলনে নামছে প্রদেশ কংগ্রেস, জানান তিনি৷ তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, পিসিসি সভাপতি বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সত্বে আন্দোলন প্রত্যাহারে ব্যর্থ হয়েছে আরক্ষা প্রশাসন৷
এদিকে, শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সুনীল দেওধর বলেন, জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধের ফলে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে৷ অথচ মুখ্যমন্ত্রী নীরব ভূমিকা পালন করছেন৷ তিনি এই অবরোধের সমাপ্তি না হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন৷ তাই, ৪৮ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়ে অবরোধ না উঠলে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন তিনি৷ দশ হাজার বিজেপি কর্মী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করা হবে বলে জানান শ্রীদেওধর৷
2017-07-16

