বাঁকাপথ নিয়ে ইয়েচুরিকে পাল্টা তোপ সুবল ভৌমিকের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে৷৷ প্রতিবার বাঁকা পথে ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট৷ এখন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে জয়ের জন্য বিজেপি বাঁকা পথ অবলম্বন করবে বলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সিপিএম৷ কারণ তাঁরা বুঝে গেছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকা পথে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসতে পারবে না৷ মঙ্গলবার এইভাবেই সিপিএমকে বিঁধেছেন বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক৷
তাঁর বক্তব্য, বিজেপি কখনই বাঁকা পথ অবলম্বন করে ক্ষমতায় আসে না৷ অরুনাচল প্রদেশ, মণিপুর কিংবা গোয়াতেও বাঁকা পথে বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি৷ এমনকি উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডেও মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছে৷ তাঁর দাবি, সিপিএম বরাবর বাঁকা পথে ক্ষমতা দখল করেছে৷ তাই তাঁদের ধারণা, বাঁকা পথ ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়৷ অবশ্য এখন তারা এও বুঝতে পারছেন, রাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবেন৷ সিপিএম বাঁকাপথ অবলম্বন করতে পারবে না৷ তাই মুখরক্ষায় আগে থেকেই বিজেপি বাঁকা পথ অবলম্বন করে ক্ষমতায় আসবে বলে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে৷ সোমবার বিলোনীয়ায় সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এসএফআই’র জনসভায় বক্তব্য রাখতে আগাম পরাজয়ের আশঙ্কায় বিজেপি বাঁকা পথ অবলম্বন করে ক্ষমতায় আসবে বলে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন৷
ত্রিপুরার প্রান্তিক শহর বিলোনিয়ায় এস এফ আই এর সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে সিপিআইএম এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন তার তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি৷ বিজেপির মতে সিপিআইএম এরাজ্যে তাদের পতনের সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে পারছে৷ ভারতীয়ন জনতা পার্টির প্রদেশ কমিটির সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সীতারাম ইয়েচুরি যা বলেছেন তা কোন জাতীয় নেতার পক্ষে মানান সই নয়৷ তিনি তার ভাষণে ভারতে সবচেয়ে বেশি অনাহারে অপুষ্টিতে মৃত্যুর কথা বলেছেন৷ কিন্তু তার এরাজ্যের কমরেডরা তাকে জানায়নি ত্রিপুরায় মা ২০০ টাকায় সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য হয়৷ যা সারা দেশে কোথাও পাওয়া যাবে না৷ তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন কিংবা চাকরীচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকের বিষয় নিয়ে তারা কেউই কোন কথা বলেনি৷ এটাই বিকল্প সরকারের নমুনা৷ কিন্তু এরাই বলে তারাই বিকল্প দিশার পথ৷ সুবল ভৌমিক বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সরকার যা করতে পারেনি তা ৩ বছরে করিয়ে দেখিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ তবে সমস্যা হয়েছে দেশ বিরোধী ও জন বিরোধী শক্তিগুলির৷ তাই সারা দেশের উন্নয়ন নিন্দুকদের দৃষ্টিতে পরে না৷ কিন্তু যে রাজ্য শুধুমাত্র রেগার সাফল্যের কথা শুনিয়ে বিকল্প পথের দিশা দেখায় তারা উন্নয়নের প্রকৃত অর্থই জানে না৷ কারণ ১৮০ টাকা নিয়ে রেগার কাজ করতে তারাই বাধ্য হচ্ছে যাদের ৪০০ টাকা রোজগারের ব্যবস্থা নেই৷ রেগার কাজ বেশী হয় মানেই এরাজ্যে উন্নয়ন হয়নি, জনগনের কাছে এর চাইতে ভাল আয়ের কোন পথ নেই৷ সুবল ভৌমিকের মতে সিপিআইএম বুঝে গেছে তাদের শেষ দুর্গ ত্রিপুরাতেও পতন অবশ্যম্ভাবী৷ তাই অবান্তর কথা বলছেন এই নেতারা৷ তিনি উল্লেখ করেন যে সম্মেলনের উদ্বোধনী সীতারাম ইয়েচুরি করলেন তাতে ছাত্রদের বেশি সংখ্যার থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু ৯৫ শতাংশই ছিল বৃদ্ধ৷ তাও সারা রাজ্য থেকে জোগাড় করে আনা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *