আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া রাজ্য প্রশাসনের কোন কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না, দাবি কং লিগ্যাল সেলের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মে৷৷ আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া রাজ্য প্রশাসনের কোন কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না৷ রাজ্য

শনিবার আগরতলায় কংগ্রেস লিগ্যাল সেল এবং হিউম্যান রাইটস শাখার একদিনের প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা৷ নিজস্ব ছবি৷

চালাতে ব্যর্থ সরকার প্রতিনিয়ত আদালতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হচ্ছে৷ তা সত্বেও ঔদ্ধত্য রাজ্য সরকারের এতটাই বেড়ে গেছে যে আদালতের রায়ও তারা মানছে না৷ শনিবার কংগ্রেস লিগ্যাল সেল এবং হিউম্যান রাইটস শাখার সম্মেলনে এইভাবেই রাজ্য পরিচালনায় সরকারের ভূমিকায় বিদ্রুপ করেছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান আইনজীবী পিযুষ কান্তি বিশ্বাস৷
এদিন তিনি বলেন, বামফ্রন্ট সরকার দূর্নীতিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছে৷ সরকারী অর্থের নয়ছয় করে দলীয় তহবিল বাড়ানো হচ্ছে৷ প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা ফুটে উঠছে৷ ফলে, আদালতকে তাতে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে৷ উচ্চ আদালতে একাধিক মামলায় রাজ্য সরকারে মুখে চুনকালি মেখেছে৷ আদালত রাজ্য সরকারকে একাধিকবার বিভিন্ন মামলায় ভৎর্সনা করেছে৷ তা সত্বেও বামফ্রন্ট সরকারের সম্ভিত ফিরছে না৷ উপরোন্তু তারা প্রতিনিয়ত আদালত অবমাননা করে চলেছে৷ তাঁর অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে৷ তাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরাধজনিত ঘটনা ঘটলেও থানায় মামলা লিপিবদ্ধ হচ্ছে না৷ নারী নির্যাতন, খুন, সন্ত্রাস দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ কিন্তু, পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে৷
এদিন তিনি বলেন, রাজ্যে ১৪ লক্ষ আমানতকারীর অর্থ লুঠ করে পালিয়েছে চিটফান্ড সংস্থাগুলি৷ এর পেছনেও রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদত ছিল বলে তাঁর অভিযোগ৷ এবিষয়ে তাঁর যুক্তি, রাজ্য সরকার চিটফান্ড কান্ডে তদন্তের জন্য সিবিআই দিতে ইচ্ছুক নয়৷ নামকাওয়াস্তে কয়েকটি মামলা সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে৷ এথেকে স্পষ্ট যে, চিটফান্ড কান্ডে রাজ্য সরকার এবং শাসক দলও ফেঁসে যেতে পারে, তাই সিবিআই তদন্তের পক্ষপাতি নন তারা৷ এবিষয়ে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সিপিএমের গোপন সমঝোতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন শ্রীবিশ্বাস৷ তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রও এরাজ্যে চিটফান্ড কান্ডের তদন্তে সিবিআই আসুক চাইছে না৷
পাশাপাশি এদিন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতিরও তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার এখন মানুষ চিন্তাধারাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বিমুদ্রাকরণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে৷ এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য এদিনের সম্মেলনে অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছেন প্রতিনিধিরা৷