নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ডিসেম্বর: শাসক দলের ভেতরে সিপিএমের এজেন্টরা ঢুকে আছে, তারা তিপরা মথাকে শেষ করতে চাইছে। কিন্তু তিপরা মথাকে ধ্বংস করা সহজ নয়, তিপ্রাসাদের সমর্থন রয়েছে আমাদের সঙ্গে। আজ সন্ধ্যায় নিজের সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন।
তিনি বলেন, বিজেপির জনজাতি নেতারা সিপিএমের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। সিপিএমকে শেষ করার বদলে তারা বলেন, তিপরা মথাকে জানুয়ারির মধ্যে শেষ করে দেওয়া হবে। তারা কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলে, নিজের শরিক দলকে শেষ করে দিতে চাইছে। ফলে, তারা আদৌ বিজেপির দলের নেতা, নাকি সিপিএমের এজেন্ট? সংশয় প্রকাশ করেন প্রদ্যোত।
তাঁর কথায়, বিজেপি বিভিন্ন সভা থেকে প্রদ্যোতের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। তিপরা মথার বিরুদ্ধে কথা বলেন। কিন্তু জনজাতিদের উন্নয়নে, এডিসির উন্নয়নে তাদের কোন ভূমিকা নেই বলে দাবি করেন তিনি। প্রদ্যোত কিশোর, আরো অভিযোগ করেন, কমিউনিস্টরাই বিজেপিতে প্রবেশ করেছে। ফলে তারাই দলের অন্ধরে এজেন্ট – র কাজ করছে। রাজনীতিকে তারা ব্যবসায় পরিণত করেছে। টিকিটের নামে আর্থিক স্বার্থ লাভালাভের চেষ্টাতেই এই কাজ করছে বলে দাবি তাঁর।
এদিন ফেসবুক লাইভে তিনি ফের একবার তিপ্রাসাদের অক্সিজেন দিলেন। বিভিন্ন জনজাতি এলাকাগুলিতে দলীয় নেতৃত্বদের পৌঁছে তিপ্রাসা জনগণের খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দিলেন। পাশাপাশি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই গোটা রাজ্যে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন তিনি। উত্তর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রত্যেকটি জেলাতেই তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন এদিন।
পাশাপাশি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বোর্ড পরীক্ষায় জনজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের রোমান হরফে লেখার অধিকার দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সকল শাখা সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে রোমান হরফে পরীক্ষায় লেখার অধিকারের দাবিতে আন্দোলন সংঘটিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক তিপ্রাসাদের দলমতের ঊর্ধ্বে এসে, রাজনীতির উর্ধ্বে এসে ভবিষ্যতের জন্য এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

