ধর্মনগরের ভি–মার্টে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রি অভিযোগ, প্রশাসনের তৎপরতা, একযোগে একাধিক বিপণিতে অভিযান

ধর্মনগর, ৬ ডিসেম্বর : স্থানীয় এক ক্রেতার অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযোগ ছিল—ধর্মনগরের জনপ্রিয় বিপণি ভি–মার্টে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে। পোস্টটি মুহূর্তে শহরজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করতেই শুক্রবার বিশেষ অভিযানে দোকানটিতে ঢোকেন এসডিএম অফিসের নেতৃত্বাধীন পরিদর্শনকারী দল।

অভিযানে অংশ নেন ধর্মনগর পৌর পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, সেলস ট্যাক্স বিভাগ, ফুড সেফটি অফিস, ত্রিপুরা স্টেট পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড, লিগ্যাল মেট্রোলজি বিভাগ এবং এসডিএম অফিসের ফুড সেকশনের কর্মকর্তারা।
এদিন বিভিন্ন কাউন্টারে থাকা খাদ্যপণ্য ও প্যাকেটজাত সামগ্রীর মেয়াদ, সংরক্ষণ প্রক্রিয়া এবং মান যাচাই করা হয়। ফুড সেফটি অফিসারের নজরে আসে কয়েকটি মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাকেট, যা তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে অভিযোগকারীর ভাইরাল পোস্টকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন—বড় বিপণিগুলিতে নিয়মিত নজরদারি না থাকায় এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, “কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। ভোক্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।”

শুধু ভি–মার্ট নয়, এদিন একই সঙ্গে বিশাল মেগা মার্ট, স্মার্ট পয়েন্ট ও নয়াপাড়া বাজারসহ শহরের আরও কয়েকটি বড় দোকানেও হঠাৎ অভিযান চালানো হয়। সেখানে বিলিং পদ্ধতি, এমআরপি, স্টক রেজিস্টার, ওজনযন্ত্রের নির্ভরযোগ্যতা, পরিবেশগত মানদণ্ড এবং খাদ্য সুরক্ষা নিয়ম ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কি না—সবই খতিয়ে দেখা হয়।

ঘটনার পর নাগরিকদের দাবি, শুধু বড় বিপণি নয়, ছোট বাজার ও স্থানীয় দোকানগুলোতেও নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। প্রশাসন জানিয়েছে—অভিযান চলবে, এবং ভোক্তারা যেন নিরাপদ, মানসম্মত ও সঠিক পণ্য পান, সে দিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

Leave a Reply