রাষ্ট্রপতি ভবনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেওয়া হল আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা

নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর: দুই দিনের ভারত সফরে এসে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক স্বাগত। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন পরস্পরের দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে পুতিনকে স্বাগত জানান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুতিন তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি বিমানবন্দরে পৌঁছে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। মোদি নিজেই তাকে টারম্যাক থেকে একই গাড়িতে করে নিয়ে যান।

দিল্লিজুড়ে একাধিক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠককে কেন্দ্র করে সাজানো এই সফর ভারত-রাশিয়া কৌশলগত সম্পর্কের ধারাবাহিক গুরুত্বকে স্পষ্ট করে তুলেছে, বিশেষত বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে।

দিনের পরে হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে বৈঠক হবে। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। প্রতিনিধি-স্তরের আলোচনা শেষে দুই নেতা যৌথ বিবৃতি দেবেন। পুতিন পরবর্তীতে একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, যেখানে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে জোর দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে পুতিনের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন।

পালাম বিমানবন্দরে পুতিনের আগমনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পুতিন একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা জানান। এর পর টারম্যাকে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সফর উপলক্ষে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক, বিশেষ করে লোককল্যাণ মার্গসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ভারত-রাশিয়া পতাকা ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছিল। প্রতীকী তাৎপর্য ও কূটনৈতিক বার্তায় সমৃদ্ধ এই প্রস্তুতিই সফরের আবহ তৈরি করে।

ভারতে পৌঁছেই দুই নেতা একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান, যেখানে মোদি পুতিনের সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। মোদি এক্স-এ (এক্স ) ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত… ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, যা আমাদের জনগণের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ।

এ বছরের জুলাইয়ে মোদির মস্কো সফরের পর পুতিনের এই ভারত সফর, দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের ধারাবাহিক বৈঠকের গতি বজায় রেখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ়, স্থিতিশীল ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

Leave a Reply