বিহার বিধানসভা নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা

নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর : নির্বাচন কমিশন (ইসি) রোববার মিডিয়া আউটলেট এবং সম্প্রচারকদের প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা নির্বাচনের সঠিক ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এর আওতায় নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর, এই দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের চলাকালীন নির্ধারিত নীরবতা সময়কাল-এ কোন নির্বাচনী সম্পর্কিত বিষয় প্রকাশ করা যাবে না।

সেকশন ১২৬(১)(বি) অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, যা ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সময় পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, কোনো টেলিভিশন, রেডিও বা অন্য কোন মিডিয়ায় নির্বাচনী বিষয় প্রচার করা নিষিদ্ধ। ইসি নির্দেশ দিয়েছে, টিভি ও রেডিও চ্যানেলগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা এই সময়কালে এমন কোনো প্রোগ্রাম সম্প্রচার করবে না, যা কোনো দল বা প্রার্থীকে সমর্থন বা বিরোধিতা করার জন্য প্রচারিত হতে পারে।

এছাড়া, ইসি মতামত জরিপ বা অপিনিয়ন পোল প্রকাশও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।

একইসঙ্গে, নির্বাচন কমিশন সেকশন ১২৬এ এর আওতায় এক্সিট পোলের প্রচারও নিষিদ্ধ করেছে। ৬ নভেম্বর সকাল ৭টা থেকে ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে, যা ভোটগ্রহণের পুরো সময়কালকে আচ্ছাদিত করবে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই বিধি ভঙ্গ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।

ইসি সকল মিডিয়া হাউজকে অনুরোধ করেছে, তারা যেন এই নির্দেশনাগুলো “শব্দ এবং ভাব” উভয়ই মেনে চলে, যাতে নির্বাচনটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হতে পারে।

এছাড়া, এই নিষেধাজ্ঞাগুলি শুধুমাত্র বিহার বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য, এবং ভোটগ্রহণের সময়কালীন বা তার পূর্ববর্তী সময়ে যেকোনো ধরনের প্রচার নিষিদ্ধ।