মণিপুরে কেএসপি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্য, চার জঙ্গি ও এক অসামরিক ব্যক্তি গ্রেফতার

ইমফল, ১৮ অক্টোবর : মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি-এর বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত চারজন সক্রিয় জঙ্গি ও একজন অসামরিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পৃথক অভিযানগুলি চালানো হয় বিষ্ণুপুর, থৌবাল এবং চুরাচাঁদপুর জেলায়।

প্রথম অভিযানটি হয় ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে, যখন যৌথ বাহিনী বিষ্ণুপুর জেলার নিংথৌখোং খা ওয়ার্ড নম্বর ৬-এ অভিযান চালিয়ে মোইরাংথেম শান্তা সিং (৫২)-কে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। শান্তা সিং-এর বিরুদ্ধে কেএসপি (তৈবাংগানবা) গোষ্ঠীর জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই জায়গা থেকে ধরা পড়ে ওই গোষ্ঠীর দুই সক্রিয় সদস্য—নিংথৌজাম রাকেশ সিং ওরফে লুচিংপুরেল (২১), বিষ্ণুপুর ওয়ার্ড নম্বর ৬-এর বাসিন্দা এবং লাইশ্রাম বীরজিত সিং ওরফে লাকি (৩৫), যিনি থৌবাল জেলার খোংজম বাজার মানিং-এর বাসিন্দা।

এই অভিযানের পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী একটি ফলো-আপ অভিযান চালায়, যার ফলে গ্রেফতার হয় কেএসপি (তৈবাংগানবা) গোষ্ঠীর আরও এক সক্রিয় সদস্য, লাইশ্রাম কিশন সিং ওরফে পামুবা (২৩)। তাকে বিষ্ণুপুর থানার আওতাধীন নাচৌ পান্তোং এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার বাড়ি চুরাচাঁদপুর জেলার তুইবং জায়োন ভেং মামাং অঞ্চলে। এই অভিযানে বাহিনী একে .৩২ মিমি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি তাজা গুলি, পাঁচটি মোবাইল ফোন এবং একটি সাইড ব্যাগ উদ্ধার করে।

অন্যদিকে, ১৬ অক্টোবর একটি পৃথক অভিযানে থৌবাল জেলার টেকচাম মাই লাইকাই এলাকা থেকে কেএসপি (নোংদ্রেনখোবা) গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য পেবম হীরা সিং ওরফে লক্ষপা (৫০)-কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা তোলা, অস্ত্র পরিবহন এবং নতুন জঙ্গি নিয়োগের কাজে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযানে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযানের মাধ্যমে রাজ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পথে বড়সড় অগ্রগতি হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।