গান্ধীনগর:কচ্ছের ধোরদো, যা ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থা-র ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে, এবার গুজরাটের চতুর্থ সম্পূর্ণ সৌরবিদ্যুৎ চালিত গ্রাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। এর আগে মেহসানার মোধেরা, খেডার সুখি এবং বানাসকাঁঠার মাসালি গ্রাম সৌরগ্রাম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল শনিবার ভাভনগরে অনুষ্ঠিত ‘সমুদ্র থেকে সমৃদ্ধি’ কর্মসূচিতে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন, এমনটাই জানানো হয়েছে এক সরকারি বিবৃতিতে।
প্রধানমন্ত্রীর সূর্যঘর মুক্ত বিদ্যুৎ যোজনা-র অধীনে, ধোরদোর ৮১টি পরিবারের প্রত্যেকটিকে দেওয়া হয়েছে রুফটপ সৌর প্যানেল, যার মোট ক্ষমতা ১৭৭ কিলোওয়াট। এই প্রকল্প থেকে বছরে আনুমানিক ২.৯৫ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা গ্রামটিকে শক্তি-স্বনির্ভর করে তুলবে।
প্রত্যেক পরিবার বছরে গড়ে ১৬,০৬৪ রুপি সাশ্রয় ও আয় করতে পারবে বিদ্যুৎ বিল হ্রাস এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রির মাধ্যমে। ফলে পুরো গ্রামের জন্য বাৎসরিক মোট আর্থিক লাভ হবে প্রায় ₹১৩ লক্ষেরও বেশি।
ধোরদোর সরপঞ্চ মিয়ান হুসেন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “সরকারি ভর্তুকি এবং ব্যাংক ঋণের ফলে সৌর প্যানেল বসানোর খরচ প্রায় শূন্য হয়েছে। সীমান্তবর্তী এই গ্রাম ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ও মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নেতৃত্বে ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। এখন প্রতিটি ঘরে সৌর বিদ্যুৎ আসায় বিদ্যুৎ বিল অনেক কমে যাবে, মানুষ খুবই খুশি।”
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাট সফরে আহমেদাবাদের লোথালে নির্মাণাধীন ন্যাশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স -এর কাজ পরিদর্শন করবেন। প্রাচীন ঐতিহ্য, শিক্ষা, গবেষণা এবং পর্যটনের মিশেলে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ৪,৫০০ কোটি টাকা।
লোথাল, যা এক সময় সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল এবং যেখানে বিশ্বের প্রাচীনতম ডকইয়ার্ডগুলির একটি রয়েছে, এখন রূপান্তরিত হচ্ছে ভারতের সমুদ্র-ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে।
প্রধানমন্ত্রীর ‘ঐতিহ্যও, উন্নয়নও ’ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এই কমপ্লেক্সে থাকবে ১৪টি গ্যালারি, যা হরপ্পা যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারতের সামুদ্রিক ইতিহাস তুলে ধরবে। এছাড়াও থাকবে উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির প্যাভিলিয়ন, চারটি থিম পার্ক, এবং হরপ্পা যুগের স্থাপত্য ও জীবনযাত্রার পুনর্নির্মাণ।

