নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর: দিল্লির রোহিনী সেক্টর ১৭-এ ৬৩ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা ও তাঁর ৩৪ বছর বয়সি বিবাহিতা কন্যার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে দিল্লি পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা-র কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মহিলা কমিশন।
গত ৩০ আগস্ট এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত, মৃত মহিলার জামাই যোগেশ সেহগল, যিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন, স্ত্রী প্রিয়া সেহগল ও শাশুড়ি কুসুম সিনহাকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ।
এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে ঘটনার নিরপেক্ষ, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর প্রাসঙ্গিক ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে তিন দিনের মধ্যে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ চাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলের জন্মদিনে দু’পক্ষের মধ্যে উপহার দেওয়া-নেওয়া নিয়ে বিরোধ থেকেই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত যোগেশের কাছ থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় ও খুনে ব্যবহৃত ধারালো কাঁচি উদ্ধার করেছে মার্গ থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, আরেকটি ঘটনায়, শিলং-এর এক খাসি তরুণীকে গুরুতর আহত অবস্থায় অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস দিল্লিতে ভর্তি করা হয়েছে। মহিলার আঘাতের ধরন ও ঘটনার পরিস্থিতি ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
এই ঘটনারও সুয়ো মটো (নিজ উদ্যোগে) নিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত, নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণীকে অবিলম্বে নিঃশুল্ক চিকিৎসা ও মানসিক পরামর্শ পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এই মামলার ক্ষেত্রেও তিন দিনের মধ্যে এরটিআর চাওয়া হয়েছে।
কমিশনের সদস্য ডেলিনা খংদুপ এইমস-এ গিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানানো হয়েছে।

