ওয়াশিংটন, ৩০ আগস্ট : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার জানিয়েছেন, তার প্রশাসনের আরোপিত সমস্ত শুল্ক কার্যকর থাকবে এবং সেগুলি প্রত্যাহার করা হলে তা দেশটির জন্য “ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে”। তার এই মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন একটি মার্কিন আদালত বহু শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করেছে। যদিও আদালত তাৎক্ষণিকভাবে শুল্কগুলো তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি এবং ট্রাম্পকে সুপ্রিম কোর্টে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “সব শুল্ক এখনো কার্যকর রয়েছে! আজ একটি অতিমাত্রায় পক্ষপাতদুষ্ট আপিল আদালত ভুলভাবে বলেছে যে আমাদের শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত, কিন্তু তারা জানে শেষ পর্যন্ত আমেরিকা জিতবে। এই শুল্ক যদি কখনো তুলে নেওয়া হয়, তাহলে তা দেশের জন্য সম্পূর্ণ বিপর্যয় ডেকে আনবে। এটি আমাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করে দেবে এবং আমাদের শক্তিশালী থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমেরিকা বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি ও বিদেশি দেশগুলোর আরোপিত অন্যায় শুল্ক এবং অশুল্ক বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা আর সহ্য করবে না, তা তারা মিত্র হোক বা প্রতিপক্ষ। এগুলো আমাদের নির্মাতা, কৃষক এবং অন্যান্য সকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত যদি বহাল থাকে, তাহলে তা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে।”
ট্রাম্পের মতে, শুল্ক হলো “মেড ইন আমেরিকা” পণ্যের উৎপাদকদের সহায়তা এবং মার্কিন শ্রমিকদের রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তার শুল্কনীতি আমেরিকার অর্থনীতি ও শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য অপরিহার্য।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্পের হালনাগাদ শুল্ক তালিকায় ভারত ও ব্রাজিলের উপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইনি চ্যালেঞ্জ এবং ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া বিশ্ববাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যখন ২০২৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। আদালতের চূড়ান্ত রায় এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলার গতি আগামি দিনগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

