অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে বিরোধীদের ওয়াকআউট, তীব্র সমালোচনা জে পি নড্ডার

নয়াদিল্লি, ৩১ জুলাই : অপারেশন সিঁদুর নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য চলাকালীন বিরোধীদের ওয়াকআউটের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যসভার নেতা ও বিজেপি সভাপতি জে.পি. নড্ডা। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় অধিবেশন দ্বিতীয়বারের মতো মুলতবি হওয়ার ঠিক আগে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বিরোধীদের হট্টগোলের কারণে প্রথমে তা দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফার মুলতবির আগে নড্ডা বিরোধীদের আচরণকে “দ্বিমুখী নীতি” হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, গতকাল অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন তাঁর বক্তব্য শুরু করলেন, তখনই কিছু বিরোধী দল ওয়াকআউট করল। অথচ ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাস হামলার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন এবং উভয় কক্ষেই আলোচনা হয়েছিল। নড্ডা আরও জানান, সেই সময় লোকসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী। তবে রাজ্যসভায় শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই জবাব দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, বিজনেস এডভাইজারি কমিটির (বিএসি) বৈঠকে এটা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, আলোচনায় কে জবাব দেবেন তা নির্ধারণ করার অধিকার সরকারের রয়েছে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বদলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে কোনও সাংবিধানিক বাধা ছিল না।

বিরোধীদের উদ্দেশ্যে নড্ডা বলেন, যারা সরকার থেকে তথ্য চেয়ে আলোচনা দাবি করেছিল, তারাই যখন সুযোগ এল, তখন ওয়াকআউট করে চলে গেল। এটা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদের কাজকর্ম ব্যাহত করছে এবং তাঁদের দাবি বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।

অবশেষে বিরোধীদের লাগাতার স্লোগান এবং বিশৃঙ্খলার জেরে রাজ্যসভা ফের দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বুধবার থেকেই বিরোধীরা দাবি জানাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য দিন। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে অমিত শাহ বক্তব্য শুরু করতেই বিরোধীরা সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এই ঘটনা সংসদীয় রীতি ও দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। ট্র্যাজেডির মুহূর্তে আলোচনার নামে রাজনৈতিক কৌশল কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা।