আগরতলা, ২৩ জুন : রামকৃষ্ণ মহা বিদ্যালয়ের শিক্ষা-পরিবেশকে কলুষিত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আজ গর্জে উঠল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। কলেজ ক্যম্পাসে কলেজ কাউন্সিল ও এবিভিপির সহায়ক ডেক্সে এসএফআই-এর বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে সংগঠনের ডাকে আজ সকাল ১১টা থেকে মহাবিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে তীব্র বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন এবিভিপির বিভাগ সংযোজক অনুপ কান্তি মজুমদার, ঊনকোটি জেলা সংযোজক আয়ুষ দেব-সহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। এদিন অনুপ কান্তি মজুমদার অভিযোগ করেন, গত শনিবার ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় এসএফআই-এর নামে যে ন্যক্কারজনক হামলা সংগঠিত হয়েছে, তা ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। কলেজ কাউন্সিল ও এবিভিপির হেল্পডেস্ক লক্ষ্য করে চালানো এই হামলা ছিল ছাত্র রাজনীতির মুখোশে গুন্ডামির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরো বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও আজ সোমবার পর্যন্ত প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর অভিযোগ, “এসএফআই জানে গণতান্ত্রিক মতবাদের প্রতিযোগিতায় তারা ব্যর্থ, তাই ছাত্র-ছাত্রীদের মন জয় করতে না পেরে সন্ত্রাস ও ভাঙচুরকেই হাতিয়ার করেছে।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। “সোশ্যাল মিডিয়ায় এবিভিপি চন্ডীপুর শাখার সম্পাদক অঙ্কন পালকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে—‘গরু যেভাবে জবাই হয়, ঠিক সেভাবে অঙ্কনকে জবাই করা হবে বলা হচ্ছে।’
বিক্ষোভকারীরা আরও দাবি করেন, এসএফআই-এর এই ‘সন্ত্রাসের সংস্কৃতি’—যা তারা গত ২৫ বছর ধরে বজায় রেখে এসেছে তার অবসান ঘটাতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আজ একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে, যেখানে কলেজে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ চত্বরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। এই ঘটনায় শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সমাজকে জেগে উঠতে হবে—এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বিক্ষোভ থেকে এবিভিপি নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, “যতক্ষণ না দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে, ততক্ষণ এই আন্দোলন থামবে না।”

