বিদ্যুৎচালিত যাত্রীবাহী গাড়ির উৎপাদন বাড়াতে ভারতের নতুন প্রকল্প, বৈশ্বিক বিনিয়োগ টানার লক্ষ্য

নয়াদিল্লি, ২ জুন – মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ভারত সরকার দেশীয় যাত্রীবাহী গাড়ি উৎপাদনে বিশেষ করে ইলেকট্রিক যানবাহনের ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে একটি অগ্রগামী প্রকল্প অনুমোদন করেছে। “ইলেকট্রিক প্যাসেঞ্জার কার নির্মাণ প্রকল্প” নামক এই প্রকল্প ভারতের ২০৭০ সালের মধ্যে নিট-শূন্য কার্বন নির্গমন অর্জনের লক্ষ্য, টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করার জাতীয় উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ভারতকে বৈশ্বিক অটোমোবাইল নির্মাণ এবং উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্পের আওতায় বৈশ্বিক ইভি নির্মাতারা ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে এবং দেশের “মেক ইন ইন্ডিয়া” ও “আত্মনির্ভর ভারত” লক্ষ্য আরও এক ধাপ এগোবে।
ভারী শিল্প মন্ত্রক ১৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রকল্পটির বিস্তারিত নির্দেশাবলি প্রকাশ করেছে। একই দিনে অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগ প্রকল্প অনুসারে আমদানি শুল্ক হ্রাসের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। শীঘ্রই প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
প্রকল্প অনুসারে, অনুমোদিত আবেদনকারীদের পাঁচ বছরের জন্য কমপক্ষে ৩৫,০০০ মার্কিন ডলারের CIF মূল্যের সম্পূর্ণ নির্মিত বৈদ্যুতিক ফোর-হুইলার ১৫% হ্রাসকৃত কাস্টমস ডিউটি-তে আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে আবেদনকারীদের ₹৪,১৫০ কোটি টাকার ন্যূনতম বিনিয়োগ করতে হবে।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারী শিল্প মন্ত্রক একটি ভবিষ্যতদর্শী প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যার লক্ষ্য দেশীয়ভাবে যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাণে বিশেষত ইলেকট্রিক যানবাহনের বিকাশ। এই প্রকল্প ভারতের নিট-শূন্য কার্বন লক্ষ্য, টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই প্রকল্প কৌশলগতভাবে ভারতকে বৈশ্বিক ইভি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এতে ₹৪,১৫০ কোটির ন্যূনতম বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা বৈশ্বিক ও দেশীয় কোম্পানিগুলিকে দীর্ঘমেয়াদি নির্মাণ কাঠামো গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। পরিকল্পিত শুল্ক ছাড় এবং দেশীয় মূল্য সংযোজন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের মাধ্যমে প্রকল্পটি বিদেশি প্রযুক্তির সঙ্গে দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখবে।
দেশীয় মূল্য সংযোজনের বাধ্যতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণের মাধ্যমে প্রকল্পটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং বৈশ্বিক ও দেশীয় উভয় কোম্পানিকেই ভারতের সবুজ পরিবহণ বিপ্লবের সক্রিয় অংশীদার হতে উৎসাহিত করবে।”