আগরতলা, ১৪ মার্চ: ত্রিপুরা জুড়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে রঙের উৎসব হোলি। দোল পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে সারা ত্রিপুরায় রং খেলায় মেতে উঠেছেন আবাল- বৃদ্ধ-বনিতা৷ গুরুজনদের পায়ে আবির দিয়ে আশীর্বাদ নেওয়া, তুলসীর বেদিতে রং দেওয়া, সব মিলিয়ে দোল পূর্ণিমা উৎসবের রূপ নিয়েছিল৷
আজ দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানীর শ্রীকৃষ্ণ মন্দির ও উমা মহেশ্বর মন্দিরে বিশেষ পূজা চলছে। পাশাপাশি, মহারাজগঞ্জ বাজার সব্জি ব্যবসায়ী সমিতি দোল পূর্ণিমা পালন করেছে৷ বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ীরা মিলে দোল উপলক্ষ্যে প্রসাদ বিতরণ, কীর্তন ইত্যাদির আয়োজন করেছেন৷ ব্যবসায়ী সমিতি সমস্ত রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনা করেছে৷ সাথে, সকলের জীবন রঙ্গিন হোক, সেই প্রার্থনা করেছে৷ সমিতির বক্তব্য, জাতি-উপজাতি উভয় অংশের মানুষ মিলে আজ দোল পূর্ণিমা পালন করা হচ্ছে৷ জাতি-উপজাতির মধ্যে ওই ঐক্য যেন বজায় থাকে সেই প্রার্থনা করেছেন তাঁরা৷
তাছাড়া হোলির দিনে আপনজনকে এমনকি বন্ধু বান্ধবী আত্মীয়পরিজনকে রাঙিয়ে দিয়ে উল্লাসে মত্ত হয়ে পড়তে দেখা গেছে গোটা রাজ্যেই৷ রাজধানী আগরতলা শহরে এবং বিভিন্ন পার্কেও যুবক যুবতি, তরুণ তরুণীদের হোলির উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠতে দেখা গেছে৷
প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন উৎসবগুলির মধ্যে হোলি উৎসব অন্যতম উৎসব৷ হোলি উৎসব আমাদের জীবনে অনেক আনন্দ উল্লাস নিয়ে আসে৷ এদিন প্রিজনদের সঙ্গে আবির কিংবা অন্যান্য রকমারী রঙ দিয়ে রাঙিয়ে দিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন কিশোর কিশোরী, যুবক যুবতি সহ সব বয়সের মানুষজনরাই। হোলি উৎসব মূলত, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও তা এখন নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নেই৷ সব ধর্মবর্ণের মানুষজন হোলির আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন এবং আনন্দ উল্লাস ভাগ করে নেয়৷ বর্তমান আত্মকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থায় হোলি উৎসবে একে অপরের সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় হোলি উৎসবে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন পার্কেও দেখা গেছে সেই চিত্রই৷