ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রয়াত সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী, অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে। এর পর গ্রেফতার হলেন আরও এক অভিনেত্রীকে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ‘বুলডোজার কর্মসূচি’-র পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেহের শাওন- ‘বাচ্চারা, এত্ত ভয় পেয়েছো’ লিখে পোস্ট দেন। এতে তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয় ছাত্র-জনতা। এছাড়া এর আগেও একাধিকবার ‘বিতর্কিত’ পোস্ট করে সমালোচনার শিকার হন শাওন। সন্ধ্যায় জামালপুরের নরুন্দিতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁর গ্রেফতার হওয়ার খবর আসে।
গভীর রাতেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আটক করা হয় অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে। শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নৃত্যশিল্পী হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সোহানা সাবা। তবে বর্তমানে অভিনেত্রী হিসাবেই তাঁর পরিচিতি।
সোহানা সাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গত বছর জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সোহানা সাবা–সহ শিল্পীদের একাংশ হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি গ্রুপে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলনে সরকার পতনের পর ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সংশ্লিষ্ট বার্তার কিছু স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেত্রী।
তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশের কার্যালয়ে তাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাদের কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে, এ বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে ঘোষণা করেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। ‘বিপ্লবী’ ছাত্রদের তাণ্ডবে বুধবার থেকে নতুন করে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গত নতুন করে অশান্তি চরমে ওঠে। মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি তথা জাদুঘরে গিয়ে বাইরের ফটক ভেঙে ফেলে ‘বিপ্লবী’ ছাত্ররা। বঙ্গবন্ধু ভবনের পাশাপাশি একাধিক জায়গায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন।