আগরতলা, ৩ ডিসেম্বর : নাশকতার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে এক দুই কানি খেতের কাটা ধান। কৃষকের এখন মাথায় হাত, নিরুপায় হয়ে ঘটনার পরদিন পুলিশের দ্বারস্থ।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা রাতে ধনপুর বিধানসভার অন্তর্গত দক্ষিণ পাহাড়পুর পঞ্চায়েত এলাকার 2 নং ওয়ার্ডের (মাছিমা) গ্রামের ঠাম্মা মুরা পাড়ায় আলকাছ মিয়া নামে এক বর্গা চাষী মাছিলমা গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফার দুই কানি জমি বর্গা চাষ করেছিল। ফসল মোটামুটি ভালোই হয়েছিল। প্রান্তিক সেই বর্গা চাষী অর্থ সংকটের কারণে শ্রমিক না রেখে নিজেই কয়েকদিন ধরে পাকা ধান কেটে গ্রামীন রাস্তার পাশে স্টক করে রেখেছিল। সে ভেবেছিল গাড়ি পেলে যেকোনো সময় তার বাড়িতে নিয়ে যাবে।
কিন্তু, প্রতিহিংসা মূলক কে বা কারা রাতের অন্ধকারে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পাশের বাড়ির এক মহিলা আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এগিয়ে আসে প্রতিবেশী মানুষজন, খবর পাঠায় কাঠালিয়া ফায়ার সার্ভিস অফিসে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ছুটে যায় ঘটনার স্থলে। যদিও তার আগেই প্রতিবেশী মানুষ এসে আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। ক্ষয়ক্ষতি যাই হোক না কেন!প্রশ্ন হচ্ছে এই জাতীয় ঘটনা তো অত্যন্ত বিরল!সমাজে এ কেন অমানবিক কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে মানুষ একেবারে ভেবেই কোন কুলকিনারা পাচ্ছে না।
ঘটনার পর দিন অর্থাৎ তেশরা ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় জমির মালিক মোঃ মোস্তফা এবং বর্গা কৃষক বিকাশ যাত্রাপুর থানায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তারপর ফিরে আসতে সংবাদ কর্মীকে কাছে পেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান এখন আমি কি খেয়ে পরিবার চালাবো। আমার আর কোন উপায় নেই। নিরুপায় হয়ে এখন সরকারি সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। নিজের খাওয়া দাওয়া এবং গবাদি পশুর খাওয়া সবকিছুই কেড়ে নিল নাশকতার আগুনে।