BRAKING NEWS

কৃষকদের উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ অক্টোবর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার ১৮তম কিস্তির টাকা প্রদান করেছেন। এই কর্মসূচিতে ৯৪ কোটিরও অধিক সুবিধাভোগী কৃষকের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সরাসরি ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়েছে। আগরতলার অরুন্ধুতিনগরস্থিত রাজ্য কৃষি অনুসন্ধান কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। 

মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা রাজ্য কৃষি অনুসন্ধান কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকদের উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কৃষকদের কল্যাণে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছেন। কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার মানোন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় কোভিড অতিমারি সময়ে দেশের অর্থনীতি ততটা প্রভাবিত হয়নি, যেখানে শিল্প নির্ভরশীল বড় দেশগুলির অর্থনৈতিতে প্রভাব ফেলেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি যোজনার ১৮তম কিস্তিতে আজ রাজ্যের কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ৪৭ কোটি ৬৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ১৭তম কিস্তি পর্যন্ত রাজ্যের ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৯৯ জন কৃষকের একাউন্টে সরাসরি ৭৩৭ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পটি কৃষকদের কৃষি উপকরণ কেনার ক্ষেত্রেও সহায়ক বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, রাজ্যে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। রাজ্যের প্রায় ১৩ লক্ষ ৮৯ হাজার কৃষক প্রধানমন্ত্রী ফসলবীমা যোজনার আওতায় রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ফসলবীমা যোজনার মতো মুখ্যমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা রাজ্যে চালু রয়েছে। রাজ্যের ৩ লক্ষ ৮১ হাজার কৃষক এই যোজনার আওতায় রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, রাজ্যে ইউনিফাইড ফার্মার ডাটাবেস তৈরির কাজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত এই পোর্টালে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০০ জন কৃষকের বিবরণ নিবন্ধিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ইন্টিগ্রেটেড ক্রপ ম্যানেজমেন্ট কর্মসূচিতে ৭৫ হাজার হেক্টর এলাকায় আমন চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

এজন্য আমন চাষীদের প্রতি হেক্টরে সহায়তা করা হবে। রাজ্যের ফুলচাষিদের ফুল চাষে উৎসাহিত করতে রাজ্যে ইন্দো-ডাচ প্রকল্পে সহায়তা করা হচ্ছে। লেম্বুছড়ায় ফুল চাষের সেন্টার অব এক্সিলেন্সএর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বীরচন্দ্রমনুতে সবজির এই ধরনের সেন্টার অব এক্সিলেন্স গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্প উদ্যান প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষের জন্য ৩৯০.৩০ হেক্টর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যের প্রায় ১২৯.২৫ হেক্টর এলাকায় পাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য প্রায় ২০ হাজার ১৬১ হেক্টর এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পরিবার যোজনায় কৃষকদের সহায়তা করার কথাও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধলাই জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রটি উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিধায়ক মীনারানী সরকার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, সহকারী সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *