কলকাতা, ২৭ আগস্ট (হি.স.): ‘‘আর জি করের ঘটনার পর থেকে ১৫ দিনে মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শারীরিক অত্যাচারের একাধিক ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।’’
এই শিরোনামে একটি কোলাজ পোস্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে লিখলেন, গোটা দেশ ধর্ষণের বিচার চেয়ে আন্দোলন করছে। অথচ, এই কোলাজটিই বলে দিচ্ছে এই মুহূর্তে ভারতের পরিস্থিতি আসলে কী রকম? দেশে এই মুহূর্তে ধর্ষণবিরোধী আইনের প্রয়োজন। কারণ, পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতি ১০০টি ধর্ষণের ঘটনায় ৭৪ জন শাস্তিই পান না।
আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ। এ দিন সকালেই সমাজমাধ্যমে ওই পোস্ট করেছেন অভিষেক।
আর জি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯ অগস্ট। তার পর থেকে ১৫ দিনে দেশে যে সমস্ত ধর্ষণের ঘটনা সংবাদমাধ্যমের নজরে এসেছে, অভিষেকের দাখিল করা ‘কোলাজ’-এ কোথাও লেখা যোধপুরে মন্দিরের বাইরে শুয়ে থাকা তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের কথা। কোথাও লেখা অসমে ১৪ বছরের কিশোরীকে টিউশন পড়ে ফেরার পথে ধর্ষণ। আবার ওড়িশায় দুই রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আইসিইউয়ের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে!
অভিষেক লিখেছেন, ‘‘ভারতের এই পরিস্থিতির জবাব একটাই। কঠোর ধর্ষণবিরোধী আইন প্রয়োজন, যা ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তের শুনানি এবং দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কারণ, দেশে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করার হার মাত্র ২৬ শতাংশ।’’
অর্থাৎ, পুলিশের কাছে রিপোর্ট দায়ের হওয়া প্রতি ১০০টি ধর্ষণের ঘটনায় ২৬ জন দোষী সাব্যস্ত হন। বাকি ৭৪ জন ধর্ষণের শাস্তিই পান না। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার নামোল্লেখ করে ২৪টি নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করেছেন অভিষেক।